বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার পরামর্শ! ব্ল্যাকআউট রুখতে একাধিক মন্ত্রকের মন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শাহের
‘অহেতুক আতঙ্ক', দেশের কয়লা সঙ্কট ও বিদ্যুৎ সঙ্কট সম্পর্কে এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, ততই প্রকট হচ্ছে সমস্যাটা। মহারাষ্ট্রের ১৩টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র একধাক্কায় বন্ধ হয়ে গিয়ে
'অহেতুক আতঙ্ক', দেশের কয়লা সঙ্কট ও বিদ্যুৎ সঙ্কট সম্পর্কে এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, ততই প্রকট হচ্ছে সমস্যাটা। মহারাষ্ট্রের ১৩টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র একধাক্কায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির অবস্থা নিয়েই আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। সোমবারের সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং ও কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক থেকেই বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান কয়লা সঙ্কট আদতে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মন্ত্রীরা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের একাধিক উচ্চপদস্থ আমলা।
এনটিপিসির কর্তারাও হাজির ছিলেন সেই বৈঠকে। আজই মহারাষ্ট্রের ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ১৩টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার জেরেই রাজ্যে ৩৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে একটু কম করে বিদ্যুৎ খরচ করা হয়। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ও সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে সাশ্রয় করার কথা বলা হয়েছে। কয়লা সঙ্কট নিয়ে কয়েকদিন আগে নিজেই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং।
বলা হয়েছিল, মাত্র কয়েকদিনের কয়লা মজুত আছে দেশে। কিন্তু গতকাল এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। দেশবাসীকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। বলেছেন, কয়লার ঘাটতি নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। ওনেক ক্ষেত্রেই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে ব্যবহার করে বা অন্য কোনও উৎস খুঁজে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, বিদ্যুৎ সরবরাহ এ ভাবে কমতে থাকলে বিস্তীর্ণ এলাকায় আঁধার নামতে পারে।