গোপনীয় সরকারি তথ্য ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন অর্ণব? চাপ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার
গোপনীয় সরকারি তথ্য ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন অর্ণব? চাপ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার
বার্ক প্রধানের সঙ্গে গোপন চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে বিদ্ধ হয়েছেন রিপাবলিক টিভির 'বিখ্যাত’ সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে। এতদিন তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি পথে টিআরপি রেটিং বাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও এবার জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। এমাতবস্থায় এবার অর্ণবের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির দাবি তুলে আসরে নামল মহারাষ্ট্রের উদ্ধব সরকার।
অর্ণবকে গ্রেফতারের হুশিয়ারি
এমনকী জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে "সংবেদনশীল এবং শ্রেণিবদ্ধ তথ্য ফাঁসের" অভিযোগে অর্ণবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের বিষয়টিও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। গোপনীয় সরকারি তথ্য ফাঁসের অভিযোগে প্রয়োজনে অর্ণবকে গ্রেফতারও করা হতে পারে বলে জানান তিনি। এমনকী এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপেরও দাবি তোলেন তিনি।
গোপন চ্যাটের রেশ ধরেই বাড়ছে চাপ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বার্কের প্রাক্তন প্রধান পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে অর্ণব গোস্বামীর গোপন চ্যাট প্রকাশ্যে এসে পড়াতেই আসল ঘটনার সূত্রপাত। তারপর থেকেই বালাকোট বিমান হামলা প্রসঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রে রিপাবলিক টিভির সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী। ওই চ্যাটেই দেখা যাচ্ছে বালাকোট হামলার বিষয়ে কয়েকদিন আগে থেকেই এই হামলার বিষয়ে খবর ছিল অর্ণব গোস্বামীর কাছে। এই প্রসঙ্গে তিনি একাধিক গোপনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে।
প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকা নিয়েও
এমনকী ফাঁস হয়ে যাওয়া ওই গোপন কথোপকথনেই অর্ণব দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) এমনকী তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে তাঁর রীতিমতো ঘনিষ্ঠতা ছিল। এমতাবস্থায় বিরোধীদের অভিযোগ সরকারের প্রশ্রয়েই ক্ষমতার অলিন্দে অবাধ বিচরণ করছিলেন অর্ণব। সেখান থেকেই তুলছিলেন ব্যাবসায়িক ফায়দাও। এমতাবস্থায় বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের খবর অর্ণবের কাছে আগাম এসে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকা নিয়েও। এমনকী অর্ণব এই তথ্য কোথায় কোথায় কাকে কাকে দিয়েছিলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
অর্ণবের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মহারাষ্ট্রের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে এই প্রসঙ্গে অর্ণবের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মহারাষ্ট্রের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ আরও বলেন, " আমরা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করতে পারব না। বালাকোট হামলার তিন দিন আগে এই খবর তার হাত দিয়ে কোথায় কোথায় পৌঁছেছিল তাও খুঁজে দেখা দরকার। আমাদের এটাও দেখতে হবে এই তথ্য অর্ণবের হাতে কে পৌঁছালো। পাশাপাশি তা আদৌও শুধুমাত্র অর্ণব আর পার্থ দাশগুপ্তের কাছেই সীমাবদ্ধ ছিল কিনা তাও আমাদের ভাবাচ্ছে। "
'সীমান্তে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বিএসএফ', বিশেষ একটি দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ বাহিনীর বিরুদ্ধে