ঐতিহাসিক রায়ে ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট! মনে করালেন প্রধান বিচারপতি
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে এমন একটি রায় দিয়েছিল এলাহবাদ হাইকোর্ট যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আজ এত বছর পর সেই নজিরবিহীন রায়ের কথা মনে করালেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামণ। শনিবার প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্র
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে এমন একটি রায় দিয়েছিল এলাহবাদ হাইকোর্ট যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আজ এত বছর পর সেই নজিরবিহীন রায়ের কথা মনে করালেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামণ। শনিবার প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।
সেই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের অন্যতম পুরনো এই হাইকোর্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়ের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। এদি উত্তরপ্রদেশের ইউনিভার্সিটির শিলান্যাসও করেন প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি। প্রধান বিচারপতি এদিন ১৯৭৫ সালে এলাহবাদ হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায়ের কথা উল্লেখ করেন।
তৎকালীন বিচারপতি জগমোহন লাল সিনহা সেই রায় প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। তাঁর সেই রায়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। নির্বাচন সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই রায়ে। ইন্দিরা গান্ধীকে 'ডিসকোয়ালিফাই' করা হয়েছিল।
এদিন প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন সেই রায় ছিল অদম্য সাহসিকতার নজির। তিনি আরো বলেন, এলাহবাদ হাইকোর্টের সেই রায়ের জেরে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারত। শুধু তাই নয় দেশজুড়ে আর কি কি হতে পারত সেই ব্যাখ্যা দিতে যেতে চাননি প্রধান বিচারপতি।
এদিন বিচারপতি এনভি রামণ উল্লেখ করেন এলাহবাদ হাইকোর্টের ১৫০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। দেশজুড়ে আইনের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১২ জুন সেই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন তৎকালীন এলাহবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা। নির্বাচনসংক্রান্ত কেলেঙ্কারির একটি মামলায় তিনি সরাসরি দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। তিনি যাতে কোন নির্বাচনী পদে থাকতে না পারেন সেই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি। রিপ্রেজেন্টেটিভ পিপলস আইনে সেই রায় দেওয়া হয়েছিল।
মনে করা হয় ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায় দেশে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু নির্বাচনে জয়ের পর তার প্রতিপক্ষ রাজ নারায়ন অভিযোগ করেন ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে। আসলে নির্বাচনের সময় ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন যশপাল যাদব, যিনি পেশায় সরকারি কর্মী ছিলেন। একজন সরকারি আধিকারিকের নির্বাচনী কাজে লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ নারায়ন। সেই মামলাতেই ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি।