ভাঙনের ইঙ্গিত! বাবার মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ না যেতেই ভাইকে চ্যালেঞ্জ আলাগিরির
করুণানিধির মৃত্যুর পর এক সপ্তাহও কাল না, ডিএমকেতে বাধল গৃহযুদ্ধ। সোমবার এম.কে. আলাগিরি খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তার ভাই এম কে স্টালিনের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, আসল ডিএমকে সমর্থকরা তাঁর সঙ্গেই
প্রবাদ প্রতীম ডিএমকে নেতা করুণানিধির মৃত্যুর পর এক সপ্তাহও কাটল না, সোমবার করুণানিধির স্মারকের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর পুত্র এমকে আলাগিরি তাঁর ভাই এম কে স্টালিনের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। দাবি করলেন ডিএমকে কর্মীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। দলের সত্যিকারের সদস্যরা তাঁকেই সমর্থন করছেন।
সোমবার সকালে করুণানিধির স্মারকস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আলাগিরি। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি জানান, 'ডিএমকের সব সত্য়িকারের সমর্থকরা আমার সঙ্গে আছেন। সময়ই উচিত জবাব দেবে।'
মঙ্গলবারই ডিএমকের এক্সিকিউটিভ বডির বৈঠক রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই বৈঠকেই বর্তমান কার্যনির্বাহি প্রেসিডেন্ট এম কে স্টালিনকে ডিএমকের সর্বোচ্চ পদে উন্নীত করা হতে পারে। খাতায় কলমে অবশ্য বৈঠকটি হচ্ছে করুণানিধির মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করতে।
দলের এক নেতা দাবি করেছেন মঙ্গলবারের বৈঠকে জেনারেল কাউন্সিল মিটিং-এর দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে। সেই মিটিং-এই সম্ভবত স্টালিনকে প্রেসিডেন্ট পদে বসানো হবে। অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ১৯৬৯ সালে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আন্নাদুরাইয়ের মৃত্য়ুর পরও এরকমই এক জেনারেল কাউন্সিল মিটিং-এ প্রথমবার দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন করুণানিধি।
মঙ্গলবারের বৈঠকে এক্সিকিউটিভ কমিটির সকল সদস্যকে বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ে আন্না আরিভাল্যামে দলের সদর দপ্তরে সকাল ১০টা থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। ছিক তার আগে আলাগিরি এই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হৃবলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০১৪ সালে আলাগিরিকে দল থেকে বহিষ্কার করেন করুণানিধি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল দল বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার এবং দল ও নেতৃত্ব সম্প্রর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার। আলাগিরিকে বহিষ্কারের পর করিণানিধি স্টালিনকেই নিজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে বেছে নেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে দলের কার্যনির্বাহি প্রেসিডেন্টও করা হয়।
দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েও করুণানিধির জীবদ্দশায় আলাগিরি ডিএমকের জন্য বিশেষ সমস্যা সৃষ্টি করেননি। কিন্তু বাবার মৃত্য়ুর পরই মুখ খুলতে শুরু করলেন তিনি। তাই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আবার কি ভাঙন ধরবে ডিএমকে দলে।