করোনা ভাইরাসের পর আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারে অসমে মৃত ১৫ হাজার শূকর
করোনার পর আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারে অসমে মৃত ১৫ হাজার শূকর
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মাঝেই নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করল আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (এএসএফ)। অসমে এই এএসএফে মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার গৃহপালিত শূকরের। এরপরই রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মাঝে নতুন করে এই রোগ চাড়া দেওয়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার।
আক্রান্ত বহু শূকর
জানা গিয়েছে, ৩৩টি জেলার মধ্যে ১০টি জেলায় এই এএসএফ বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে, হাজারেরও বেশি গৃহপালিত শূকর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরপর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজারের বেশি শূকর মারা যাওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার রোধ করতে রাজ্যস্তরে টাস্ক-ফোর্স গঠন করা হয়।
এএসএফ সম্পর্কে কেন্দ্রকে জানিয়েছে রাজ্য
অসমের পশুপালন, পশুচিকিৎসা ও কৃষি মন্ত্রী অতুল বোরা জানিয়েছেন ১০টি জেলার শূকরের ওপর প্রভাব পড়েছে এবং ১৪,৯১৯ শূকর এই রোগে ভুগে মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণ রোধ করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করছি। আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছি এবং এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে কেন্দ্রের কাছ থেকে আমরা ইতিমধ্যেই ১৪৪ কোটি টাকার দাবি করেছি।' অসমের মন্ত্রী জানিয়েছেন এই রোগের সঙ্গে লড়ার জন্য জেলা ও রাজ্যস্তরে টাস্ক-ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
কাজিরাঙা উদ্যানের শূকরদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে
মন্ত্রী জানিয়েছেন যে অসমে বহু বন্য শূকরও রয়েছে এবং এই সব শূকরদের এএসএফ থেকে দূরে রাখার বিষয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। অতুল বোরা বলেন, ‘কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানেই প্রায় ১৫ হাজার বন্য শূকর রয়েছে এবং আমরা এ বিষয়ে রাজ্যের বন দপ্তরের সঙ্গে কথাম বলেছি ও সতর্কতা অবলম্বন করেছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বনন্দ সোনোওয়াল বন দপ্তরকে সব ধরনের সম্ভাব্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।' অসমের মন্ত্রী জানান যে কঠোর জৈব-সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে রোগের বিস্তার রোধে এটি একটি বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে।
চিন সীমান্ত সংলগ্ন জিজাং গ্রামে প্রথম উৎপত্তি এই রোগের
অতুল বোরা বলেন, ‘আক্রান্ত এলাকার এক কিলোমিটার পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্র আক্রান্ত শূকরদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছে এবং আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করছি।' মন্ত্রী জানিয়েছেন যে ফেব্রুয়ারিতেই এই রোগটি সনাক্ত করা হয়। যদিও এটি প্রথম ২০১৯ সালের এপ্রিলে অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্ত সংলগ্ন জিজাং গ্রামে দেখা যায়। অসম পশু পালন ও পশু চিকিৎসার ২০১৯ জনসংখ্যা অনুযায়ী রাজ্যে শূকরের সংখ্যা ২১ লক্ষ, কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ লক্ষে।
রাজ্যপালের পদ ফাঁকা, যোগ্য প্রার্থীর বিবরণ দিয়ে পাল্টা টুইট তৃণমূল সাংসদের