ভুলবশত পাকিস্তানের দিকে মিসাইল ছোঁড়ায় বায়ুসেনার তিন আধিকারিক বরখাস্ত
ভুল করে পাকিস্তানের দিকে ছুটে যাওয়া ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ সরকারের। ঘটনায় তিন বায়ুসেনা আধিকারিককে বরখাস্ত করা হল। চলতি বছরের মার্চে একটি ব্রহ্মস মিসাইল পাকিস্তানে গিয়ে আঘাত করে। সেখানে কার্যত ব্যাপ
ভুল করে পাকিস্তানের দিকে ছুটে যাওয়া ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ সরকারের। ঘটনায় তিন বায়ুসেনা আধিকারিককে বরখাস্ত করা হল। চলতি বছরের মার্চে একটি ব্রহ্মস মিসাইল পাকিস্তানে গিয়ে আঘাত করে। সেখানে কার্যত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যদিও প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।
কিন্তু পাকিস্তানের তরফে কড়া ভাষায় এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এই ঘটনার পরেই কার্যত নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকারও।
কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরেই টুইট করা হয়েছে বায়ুসেনার তরফে। যেখানে বলা হয়েছে, একটি ব্রহ্মস মিসাইল ভুল করে গত ৯ মার্চ ছোঁড়া হয়েছিল। এই ঘটনার জন্য দায়ী তিন আধিকারিকের চাকরি অবিলম্বে বাতিল করা হয়েছে বলে টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে বায়ুসেনার তরফে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বায়ুসেনার এক এয়ার ভাইস মার্শালের নেতৃত্বে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
আর সেই তদন্তেই বায়ুসেনার তিন আধিকারিকের গাফিলতির বিষয়তি সামনে আসে। আর তা আসার পরেই গোটা তদন্তের বিষয়টি রিপোর্ট আকারে জমা পড়ে। আর তা খতিয়ে দেখার পরেই তিন আধিকারিককে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ঘটনার পরেই ভারতের তরফ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। শুধু তাই নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলেও জানানো হয়। ক্ষমা চেয়ে নিলেও ভারতের তরফে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত বলেও খবর।
জানা যায়, ঘটনার পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১৫ মার্চ সংসদে বিস্তারিত জবাব দেন। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানে দূর্ঘটনাক্রমে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের ঘটনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যসভাতেও এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। জানিয়ে ছিলেন, "দুর্ভাগ্যবশত গত ৯ মার্চ একটি ক্ষেপণাস্ত্র দুর্ঘটনাক্রমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। মিসাইল পরীক্ষার সময় এই ঘটনা ঘটে। যদিও পাকিস্তানে গিয়ে আঘাত করার বিষয়টি পরে আমরা জানতে পারি বলে জানিয়ে ছিলেন রাজনাথ।
তবে এই ঘটনার পরেই পাকিস্তান জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের আকাশসীমার মধ্যে ৪০,০০০ ফুট উচ্চতায় এবং শব্দের তিনগুণ গতিতে উড়ে গিয়ছিল। তবে মিসাইলে কোনও ওভারহেড না থাকাতে সেটি বিস্ফোরণ হয়নি। ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়েছিল পাকিস্তানের মিয়া চান্নু শহরে। প্রাণহানি না হলেও ঘটনায় বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে পাকিস্তানের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়াতে জানানো হয়েছিল।
বগটুই গণহত্যায় গ্রেফতার আরও সাত! ধৃতদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ বলছে সিবিআই