সীমান্তে হামলার অপেক্ষায় কাশ্মীর উপত্যকায় লুকিয়ে ২৫০ পাক জঙ্গি!
নয়াদিল্লি, ১১ অক্টোবর : গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সরকারের অনুমান, কাশ্মীর উপত্যকায় পাকিস্তানের তিনটি জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রায় ২৫০ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। ভারতের সার্জিক্যাল অ্যাটাকের বদলা নিতে তারা সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালানোর ছক কষছে। [চাপে পড়ে ভোল বদল! সেনাবাহিনীকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ পাক প্রশাসনের]
গোয়েন্দাদের গোপন তথ্যের উল্লেখ করে শীর্ষ সরকারি আমলার একটি সূত্র মিডিয়ার একাংশকে জানিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, জঈশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের প্রায় ২৫০ জন জঙ্গি ভারতের সার্জিক্যাল অ্যাটাকের আগেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে এবং এখনও কাশ্মীর উপত্যকাতেই লুকিয়ে রয়েছে। [ভারত সার্জিক্যাল অ্যাটাক করেছে, প্রমাণ দিলেন খোদ পাকিস্তান পুলিশের এসপি]
কাশ্মীর উপত্যকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, ভারতের সার্জিক্য়াল অ্য়াটাকের বদলা নিতে সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষীদের টার্গেট করা হবে। সুযোগ পেলেই যেন তারা হামলা চালায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদের চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং জঙ্গি হামলার জন্য আগাম প্রস্তুত থাকার সতর্কবার্তাও দেওযা হয়েছে।সূত্রের খবর অনুযায়ী, সীমান্তের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তবে জটিল ভূসংস্থানের জন্য বেশ কিছু জায়গায় ফাঁক রয়ে গিয়েছিল, তাই হয়তো জঙ্গিরা ঢুকে পরতে পেরেছে। ভারতীয় সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জঙ্গিদের খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি শুরু করেছে। [সার্জিক্যাল অ্যাটাকের প্রামাণ্য ভিডিও ফুটেজ দেখাতে তৈরি ভারত]
মনে করা হচ্ছে, এখনও প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ মাসে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে আসা প্রায় ৪০ জন জঙ্গির নিধন করেছে ভারতীয় সেনা। এর পরও উরির মতো দুর্ঘটনা ঘটে। উরির সেনা শিবিরে ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই উরি হামলায় ১৯ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। উরি ছাড়াও বারামুল্লা, পাম্পোর এবং হিন্দওয়াড়ায় হামলা ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাক জঙ্গিরা। [সার্জিক্যাল অ্যাটাক: বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাশ, বিবরণ প্রত্যক্ষদর্শীদের]
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের সার্জিক্যাল অ্যাটাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লস্কর-ই-তৈবা। এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রায় ২০ জন সদস্য এই সার্জিক্যাল অ্যাটাকে মারা গিয়েছে বলে সূত্রের তরফে খবর মিলেছে।