চুরি করেও মূর্তি ফিরিয়ে দিয়ে গেল চোরেরা, কিন্তু কেন?
চুরি করেও মূর্তি ফিরিয়ে দিয়ে গেল চোরেরা, কিন্তু কেন?
দেবতার মূর্তি বা ভগবানের মন্দির থেকে গহনা ও নানান জিনিস চুরি যাওয়ার ঘটনা আমরা দেখেছি। কিন্তু তাই বলে চোরেরা আবার সেই চুরি করা জিনিস ফেরত দিয়ে গেছে। কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ এবার এমনই ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূটে। কিন্তু চোরেরা কেন ফেরত দিল মূর্তিগুলো? তবে, মূর্তিগুলো কিন্তু এখন পুলিশের কাছেই আছে?
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে
পুলিশ জানিয়েছেন, ৯ মে রাতে উত্তরপ্রদেশের এক প্রাচীন বালাজি মন্দির থেকে ১৬ টি অষ্টধাতুরমূর্তি চুরি হয়েছিল। যার আনুমানিক মূল্য কয়েককোটি টাকা। সেই মন্দিরে পুরোহিত মহন্ত রামবালক চোরেদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিলেন এবং মূর্তি চুরির কথাও জানিয়েছিলেন। এমনটাই জানাচ্ছেন সদর কোতোয়ালি করভির স্টেশন হাউস অফিসার রাজীব কুমার সিং। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন করেন এই বালাজি মন্দির খুব জাগ্রহ।
খোয়া যাওয়া মূর্তিগুলো কোথায় পাওয়া গেল
চুরি যাওয়া ১৬ টি মূর্তির মধ্যে ১৪ টি মূর্তি রবিবার মন্দিরের পুরোহিত মহন্ত রামবালকের বাড়ির কাছে একটি বস্তা পরে থাকতে দেখা যায়। সেটা দেখেন তিনিই। শুধু যে বস্তা দেখেছেন তা নয়, সেই সঙ্গে ছিল একটা চিঠিও। বস্তাটি খুলতেই বেরিয়ে আসে ১৪ টি মূর্তিটি। সেই সঙ্গে চিঠিতে চোরেরা লিখেছেন, অষ্টমূর্তি চুরি করার পর চোরেরা খুব ভয় পাচ্ছিল। শুধু কি তাই? চোরেরা চুরি করার পর খালি দুঃস্বপ্ন দেখছিল। আর সেই জন্য তারা মূর্তিগুলি ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। কারণ খুব ভয় পেয়ে গেচ্ছিল চোরেরা। আর তাই তাঁরা চুরি করেও সেই মূর্তিগুলো ফিরিয়ে দিয়েছে। ভগবান যে আছেন, এমনটাই মত অনেকের।
মূর্তিগুলো কোতোয়ালিতে থানায় জমা দেওয়া হয়
চুরি যাওয়া মূর্তি ফিরে পাওয়ার পর পুরোহিত সেগুলি থানায় নিয়ে যান। বর্তমানে মূর্তিগুলি কোতোয়ালিতে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ। সেখানকার স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন করেন এই বালাজি মন্দির খুব জাগ্রহ।
প্রতিবন্ধী বাচ্চার সঙ্গে Indigo-ব্যবহারে ক্ষুব্ধ মন্ত্রক! তদন্তে সংস্থারই দোষ পেল DGCA