হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাথর ছুঁড়ে উৎসব! ১০ মিনিটে আহত কমপক্ষে ১০০ জন
উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াত জেলায় অভিনব উপায়ে উৎসব পালন। সেখানকার দেবীধূরা মন্দিরে বহুসংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়েছিল। তাঁরা সবাই পাথর ছুঁড়ে বাগোয়াল উৎসব পালনকরেন।
উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াত জেলায় অভিনব উপায়ে উৎসব পালন। সেখানকার দেবীধূরা মন্দিরে বহুসংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়েছিল। তাঁরা সবাই পাথর ছুঁড়ে বাগোয়াল উৎসব পালন করেন। যদিও এই উৎসব পালনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
শ্রাবণ পূর্ণিমায় রাখি বন্ধনের দিন সাধারণ এই উৎসব পালন করা হয়। বারহী দেবীকে তুষ্ট করতেই এই অনুষ্ঠান।
স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, রক্ত বেরোলেই তুষ্ট হন দেবী। যা প্রত্যক্ষ করেন হাজার হাজার মানুষ। মন্দিরের পুরোহিত বিসি যোশী জানিয়েছেন, এই উৎসবে ১০ মিনিটে কমপক্ষে ১০০ জন আহত হয়েছেন।
Uttarakhand: 'Bagwal' stone pelting festival held in Champawat, part of a ritual to appease a local deity. More than 120 people injured. The festival is held every year at the temple of goddess Barahi on the occasion of #RakshaBandhan. pic.twitter.com/bU0lKODXt3
— ANI (@ANI) August 15, 2019
মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, প্রাচীন কালে দেবীকে তুষ্ট করতে এখানে নরবলি প্রচলন ছিল। কথিত আছে, কোনও বৃদ্ধ মহিলা তাঁর নাতিকে বলির উদ্দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর প্রার্থনা গ্রহণ করেন দেবী। সেই সময় দেবী স্বপ্নাদেশ দেন একে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়ে উৎসব পালন করতে, যাতে মাঠে নরবলির সমান রক্তপাত হয়।
[দিনের সেরা বাছাই ছবিগুলি দেখুন একনজরে]
প্রথা অনুযায়ী, স্থানীয় ৪ ভগবান চামোয়াল, গাহারওয়াল, ওলগিয়া এবং লামগারিয়া দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যান। এরপর দুই ভাগে মধ্যে পাথ ছুঁড়ে লড়াই হয়। প্রধান পুরোহিতের সংকেত পেলেই উৎসব শেষ করা হয়।
উৎসব পালনের কথা বলা হলেও, উৎসবে পাথরের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে হাইকোর্টের। চম্পাওয়াতের জেলাশাসক এসএন পাণ্ডে জানিয়েছেন, উৎসবে হাজারো হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভগত সিং কোশিয়ারি এবং বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার গোবিন্দ সিং কুঞ্জওয়াল।