নরকঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য হাওড়ায়! ওটা কি তাহলে বামনেত্রীরই দেহ?
নরকঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার লিলুয়ায়। প্রায় মাস পাঁচেক যাবৎ ওই এলাকায় নিখোঁজ ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যা। শাঁখা-পলা দেখে এলাকার বাসিন্দাদের অনুমান উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি ওই নিখোঁ
নরকঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার লিলুয়ায়। প্রায় মাস পাঁচেক যাবৎ ওই এলাকায় নিখোঁজ ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যা। শাঁখা-পলা দেখে এলাকার বাসিন্দাদের অনুমান উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি ওই নিখোঁজ মহিলারই। যদিও এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চাইছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
তবে এভাবে কঙ্কাল উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লিলুয়ার ঝাউতলা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে স্থানীয় কিছু মানুষ গাছের কাঠ কাটতে গিয়ে ওই কঙ্কালটি দেখতে পান। তাঁদের অনুমান, এটি কোনও মহিলার কঙ্কাল। কারণ সেখানে শাঁখা এবং পলা ছিল। ওই এলাকার বাসিন্দা গীতা মালিক নামের এক মহিলা গত ২৪ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গীতাদেবী সিপিএমের তিনবারের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছিলেন। এলাকার মানুষের সন্দেহ উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি গীতাদেবীর। যদিও কঙ্কালটি কার ফরেনসিক পরীক্ষার আগে তা বলা সম্ভব নয়। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
গীতাদেবীর ছেলে সুভাষ মালিক জানান, গত ২৪ আগস্ট তাঁর মা হঠাৎই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর মায়ের মাথার সমস্যা ছিল। তাঁরা নিখোঁজের পরদিন লিলুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। যদিও এর আগে গোটা এলাকা খুঁজে দেখা হয়। কিন্তু কোথাও খোঁজ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ পরিবারের।।
এমনকি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁরা তাঁকে খুঁজে পাননি। যে জায়গা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার হয়েছে সেটি একটি পরিত্যক্ত জলা জায়গা। বছরের অর্ধেক সময় বিশেষত বর্ষার সময় কয়েক মাস ওই জলা জমি প্রায় এক কোমর জলে ডুবে থাকে। তাই ওখানে সাধারণ মানুষ বিশেষ যাননা। জল নামতে গাছ কাটতে গিয়েছিলেন এদিন পাড়ার কিছু মানুষ। তখনই তাঁরা ওই কঙ্কালটি দেখতে পান বলে জানা যাচ্ছে।
আর এরপরেই লিলুয়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কঙ্কালটি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে ওই কঙ্কালটি সেখানে এল সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের।
তবে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বাম নেতার পরিবার ওই মহিলাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। এলাকার মানুষের অভিযোগ পরিবারের লোকেরাই তাঁকে মারধর করে খুন করে এখানে ফেলে দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নতুন করে বাম নেতার পরিবারের সদস্যদের জেরা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এভাবে নরকঙ্কা উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বলেই জানা জাছে।