৭ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ঘরের মেঝেতে পড়ে রইল করোনা আক্রান্ত মৃতের দেহ! চাঞ্চল্য হাওড়াতে
প্রায় ৭ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ঘরের মেঝেতে পড়ে রইল কোভিডে মৃতের দেহ। পরে সংবাদ মাধ্যম মারফত খবর জানাজানি হতে তৎপরতা শুরু হয়। হাওড়ার ব্যাঁটরায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ৭ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ঘরের মেঝেতে পড়ে রইল কোভিডে মৃতের দেহ। পরে সংবাদ মাধ্যম মারফত খবর জানাজানি হতে তৎপরতা শুরু হয়।
হাওড়ার ব্যাঁটরায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মারা যান হরিধন ভট্টাচার্য ( ৫৩ ) নামের ওই ব্যক্তি।
কালিপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনের বাড়িতে তখন থেকেই পড়ে থাকে তাঁর দেহ। পরিবারের সদস্যরা ব্যাঁটরা থানা থেকে শুরু করে হাওড়া পুরসভা সর্বত্র যোগাযোগ শুরু করেন। কিন্তু কাজ হয়নি দীর্ঘক্ষণ। থানার তরফ থেকে দাবি করা হয়, তাঁরা পুরসভাকে ফোন করে গাড়ি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
পরিবারের অভিযোগ, বিকেল গড়ালেও প্রথমে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এই ঘটনায় চরম হয়রানির শিকার হতে হয় পরিবারের লোকজনদের। পরে পুরনিগমের গাড়ি এসে মৃতদেহ শিবপুর শ্মশানঘাটে নিয়ে যায়।
এদিকে, দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে করোনা রোগীর মৃতদেহ পড়ে থাকায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। মৃতের আত্মীয় অনিমেষ সাউ বলেন, বাড়িতেই করোনার চিকিৎসা চলছিল জামাইবাবু হরিধন ভট্টাচার্যের। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শনিবার তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি।
যদিও পরে বাড়িতে ফিরিয়ে এনে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করে পরিবার। দু'দিন ধরে চলছিল হরিধনবাবুর করোনা চিকিৎসা। তিনি আরও বলেন, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মারা যান হরিধনবাবু।
কালিপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনের বাড়িতে তখন থেকেই পড়ে থাকে তাঁর দেহ। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, করোনায় মৃতদের দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমানে হাওড়া পুরসভার দু'টি গাড়ি চলছে।
তার মধ্যে একটি শববাহী গাড়ি রবিবার খারাপ হয়ে যায়। অপর একটি গাড়িই এদিন চলে। সেই গাড়িটি কয়েকটি জায়গা থেকে মৃতদেহ আনতে গিয়ে একটু দেরি হয়।