দলবদলের গুঞ্জনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন গোলমেশিন সুয়ারেজ
দলবদলের গুঞ্জন এবার নিজেই থামিয়ে দিলেন লা লিগা চ্যাম্পিয়ন আতলেতিকো মাদ্রিদের গোলমেশিন লুইস সুয়ারেজ। সাফ জানিয়ে দিলেন, কঠিন সময়ে যেভাবে আতলেতিকো মাদ্রিদ আমার জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল, সে কথা মনে রেখে আগামী মরশুমেও এই ক্লাবেই খেলব। সুয়ারেজের মতোই আতলেতিকোতেই থাকছেন কোচ দিয়েগো সিমেওনে। তিনিও নিশ্চিত, আতলেতিকোর সামনে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে।
থাকছেন আতলেতিকোতেই
স্পেনের সংবাদমাধ্যমে সুয়ারেজ বলেছেন, এখানে এসে পৌঁছানোর মুহূর্ত থেকেই আমাকে আপন করে স্বাগত জানিয়েছে আতলেতিকো। আমি জানতে চেয়েছিলাম এখানে আমি খেলার সুযোগ পেতে পারি কিনা। আমার ফুটবল কেরিয়ারের জন্য প্রতিদিন আমার স্ত্রী, সন্তানদেরও অনেক প্রতিবন্ধকতা সহ্য করতে হয়। বার্সেলোনায় যে ব্যবহার পেয়েছিলাম তাতে দুর্ভোগের মধ্যে কাটাতে হয়েছে আমার পরিবারকেও। আতলেতিকোয় সদ্যসমাপ্ত মরশুমটা দারুণ কেটেছে। অনেক প্রতিবন্ধতা পেরিয়েও আমরা ধারাবাহিক থাকতে পেরেছি এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।
ছবি- ইনস্টাগ্রাম
সুয়ারেজের গোলেই খেতাব
উল্লেখ্য, এবারের লা লিগায় সুয়ারেজের দুরন্ত ছন্দে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের খেতাব জয়ের যেখানে অন্যতম প্রধান কারণ, সেখানে বার্সা লা লিগা অভিযান শেষ করল তৃতীয় স্থানে থেকে। ভ্যালাদলিদের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে অস্কার প্লানোর করা গোলে পিছিয়ে ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাঞ্জেল কোরেয়া ৫৭ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান। ৬৭ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের গোলে ম্যাচ তো বটেই, খেতাব জয়ও নিশ্চিত হয় আতলেতিকোর। ফলে শেষ ম্যাচে জিতেও লাভ হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের।
ছবি- ইনস্টাগ্রাম
তৃপ্ত অভিমানী সুয়ারেজ
অথচ ছয় বছর বার্সার হয়ে ১৯৮টি গোল করা সুয়ারেজকে গত বছর ছেড়ে দেয় বার্সেলোনা। লা লিগা খেতাব জয়ের পর তাই সুয়ারেজ বলেন, বার্সেলোনা যেভাবে আমাকে খাটো করে দেখিয়েছে তাতে গত বছর খুব কঠিন় সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদ আমার জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল। আমার প্রতিভার প্রতি আতলেতিকো মাদ্রিদ যে আস্থা রেখেছিল তা পূরণ করতে পারায় ভালো লাগছে।
আতলেতির গোলমেশিন
খেতাবের জয়সূচক গোল করার পাশাপাশি এবারের লা লিগায় ২১টি গোল করেছেন সুয়ারেজ। তাঁর এই ২১টি গোল লা লিগায় আতলেতিকোকে ২১ পয়েন্ট পেতে সাহায্য করেছে। ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই আতলেতিকোতে এসেছিলেন। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই তিনি অন্যত্র যেতে পারেন। ফলে ফুটবলমহলে তাঁর লিভারপুলে যাওয়ার জল্পনায় নিজেই ইতি টানলেন উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার।