ডুরান্ড ফাইনালের গোলদাতাকে ঠেলে সরিয়ে বিতর্কে অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যপালের দোষে দুষ্ট ক্রীড়ামন্ত্রী! ভাইরাল ভিডিও
ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। এই প্রথম সুনীল ছেত্রী এবং তাঁর দল ডুরান্ড জয়ের স্বাদ পেলেন। আর সেই ডুরান্ডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যপাল লা গণেশন এবং ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছবি তোলার লোভ সামলাতে না পেরে এই দুজন যে কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুঙ্গে বিতর্ক।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিতর্ক
ডুরান্ড কাপ ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের দুটি ভিডিও আজ ভাইরাল হয়েছে। যার একটিতে দেখা গিয়েছে, ডুরান্ড কাপ যখন গ্রহণ করছিলেন বেঙ্গালুরু এফসি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী তখন তাঁকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল লা গণেশন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে চিত্র সাংবাদিকরা যখন ছবি তুলছিলেন তখন তাঁকে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে সংশয়ী ছিলেন রাজ্যপাল। এগিয়ে-পিছিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। এরপর সুনীলের গায়ে হাত দিয়ে তাঁকে সরে দাঁড়াতে বলেন।
|
সমালোচিত রাজ্যপাল
রাজ্যপালের এই কীর্তি ভাইরাল হতেই ক্রীড়াপ্রেমীরা নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক সমর্থকও সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যপালকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। যাঁরা খেলে ট্রফি জিতেছেন তাঁদের সরিয়ে দিয়ে নিজের ছবি তুলতে রাজ্যপাল যা করেছেন তাকে কেউই সমর্থন করেননি।
অরূপ বিশ্বাসও একই দোষে দুষ্ট!
রাজ্যপালের অস্বস্তি বাড়ার মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রীও রাজ্যপালের দোষেই দুষ্ট! অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুরান্ড কাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আরেকটি ভাইরাল ভিডিও তা স্পষ্ট করেছে। অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন গতকালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। রাজ্যপাল লা গণেশন সুনীল ছেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার কয়েক মিনিট আগের ঘটনাই অস্বস্তিতে ফেলেছে অরূপ বিশ্বাসকে। খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের প্রতি এভাবে একজন রাজনীতিবিদের অসম্মান অনেকেরই হজম হচ্ছে না।
|
ক্রীড়ামন্ত্রীও অস্বস্তিতে
ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, অরূপ বিশ্বাসের হাত থেকে ট্রফি গ্রহণ করছিলেন বেঙ্গালুরু এফসির রয় কৃষ্ণ ও ফাইনালের প্রথম গোলদাতা শিবশক্তি নারায়ণন। শিবশক্তি এবারের ডুরান্ড কাপে পাঁচটি গোল করে যুগ্ম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতাও বটে। ছবিতে নিজের মুখ যাতে স্পষ্ট আসে সেজন্য সেই শিবশক্তিকে সরিয়ে দেন অরূপ বিশ্বাস। তবে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর এহেন কাণ্ড রাজ্যপালকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণকারীদেরও কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিয়েছে। রাজ্যপাল বা ক্রীড়ামন্ত্রী কেউই এই বিতর্কে এখনও মুখ খোলেননি।