For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

নেতৃত্বের স্বাভাবিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছিলেন প্রিয়রঞ্জন, রাজনীতির বর্ণময় চরিত্রকে একবার ফিরে দেখা

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৭০ সালে। দীর্ঘ ৯ বছর কোমায় লড়াই চালিয়ে ক্লান্ত শরীরে অবশেষে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে নিশ্চিন্তপুরের দিকে রওনা দিলেন সকলের প্রিয় প্রিয়রঞ্জন।

  • |
Google Oneindia Bengali News

রায়গঞ্জের মানুষ হিসাবে শেষ লড়া দুটি লোকসভা ভোটে (১৯৯৯ ও ২০০৪ সাল) প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি রায়গঞ্জ থেকেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন পয়তাল্লিশ বছরের বেশি সময় আগে। এদিন তা এক লহমায় থেমে গেল। কংগ্রেসের ছাত্র নেতা থেকে প্রদেশ নেতৃত্ব, ফুটবলের প্রসার ঘটানো থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব, এক হাতে সবটাই সামলেছেন তিনি। দীর্ঘ ৯ বছর কোমায় লড়াই চালিয়ে ক্লান্ত শরীরে অবশেষে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে নিশ্চিন্তপুরের দিকে রওনা দিলেন সকলের প্রিয় প্রিয়রঞ্জন।

[আরও পড়ুন:সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও প্রিয়রঞ্জনই ছিলেন জ্যোতি বসুর প্রধান 'প্রতিদ্বন্দ্বী'][আরও পড়ুন:সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও প্রিয়রঞ্জনই ছিলেন জ্যোতি বসুর প্রধান 'প্রতিদ্বন্দ্বী']

কংগ্রেসে হাতেখড়ি

কংগ্রেসে হাতেখড়ি

প্রিয়রঞ্জনের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৩ নভেম্বর। রায়গঞ্জ থেকে উঠে এসে ১৯৭০ সালে কংগ্রেসী ছাত্রনীতিতে হাতেখড়ি হয়। সেবছর হন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি। সেই শুরু তারপরে আর কোনওদিন রাজনীতির ময়দানে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

[আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রিয়, স্যোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশে নিরুত্তাপ তাবড় কংগ্রেস নেতারা][আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রিয়, স্যোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশে নিরুত্তাপ তাবড় কংগ্রেস নেতারা]

প্রথমবার সাংসদ

প্রথমবার সাংসদ

১৯৭১ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচনে লড়ে জেতেন। তখন বয়স মাত্র ২৬ বছর। এরপরে ১৯৮৫ সালে প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। রাজ্যে বাম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অন্যতম সেরা মুখ হিসাবে উঠে এসেছিলেন তিনি। যদিও ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে পালাবদলের খবর তাঁর কানে পৌঁছয়নি। তিনি কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে দিল্লির হাসপাতালে কাটিয়েছেন।

[আরও পড়ুন:আগামীকাল রায়গঞ্জে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ][আরও পড়ুন:আগামীকাল রায়গঞ্জে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ]

রায়গঞ্জ থেকে ভোটে জেতা

রায়গঞ্জ থেকে ভোটে জেতা

২০০৪ সালে রায়গঞ্জ থেকে ভোটে জিতে কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হন প্রিয়। সঙ্গে পান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিশেষ দায়িত্ব। মন্ত্রী থাকাকালীন এএক্সএন ও ফ্যাশন টিভির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ ওঠায় নির্দেশ দিয়ে তার সম্প্রচার তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল।

[আরও পড়ুন:প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্মৃতিচারণায় তাঁর ছাত্র রাজনীতির সময়কার নানা ঘটনা তুলে ধরলেন পার্থ ][আরও পড়ুন:প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্মৃতিচারণায় তাঁর ছাত্র রাজনীতির সময়কার নানা ঘটনা তুলে ধরলেন পার্থ ]

প্রিয়কে নিয়ে বিতর্ক

প্রিয়কে নিয়ে বিতর্ক

এর পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট দলের ম্যাচ দেখানোর জন্য ব্রডকাস্টার নিমবাসকে ব্রডকাস্ট সত্ত্ব দূরদর্শনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বাধ্য করেছিলেন প্রিয়। প্রায় চারবছর প্রিয়র নির্দেশে নিমবাস এমনটা করতে বাধ্য হয়েছিল। যার ফলে ওই সংস্থার কোটি কোটি টাকা লোকসান হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।

এআইএফএফ সভাপতি

এআইএফএফ সভাপতি

সংসদে দীর্ঘদিন সাংসদ হিসাবে কাজ করেছেন প্রিয়রঞ্জন। ১৯৭১, ১৯৮৪ সালে জিতলেও ১৯৮৯ ও ১৯৯৬ সালে হাওড়া থেকে দাঁড়িয়ে হেরে যান। তারপরে ১৯৯৬ সালে ফের হাওড়া থেকে জেতেন। এরপরে ১৯৯৯ ও ২০০৪ সালে রায়গঞ্জ আসন থেকে জিতে লোকসভায় যান। এসবের পাশাপাশি দীর্ঘ ২০ বছর এআইএফএফ সভাপতির পদ সামলেছেন প্রিয়রঞ্জন।

দীপার সঙ্গে বিয়ে

দীপার সঙ্গে বিয়ে

১৯৯৪ সালে দীপা দাশমুন্সির সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের একমাত্র পুত্র প্রিয়দীপকে আদর করে তিনি মিছিল বলে ডাকতেন। সেটাই প্রিয়দীপের ডাকনাম। এদিন হাসপাতালে বাবার শেষমুহূর্তে মিছিল ও তাঁর মা দীপা দুজনেই কাছাকাছিই ছিলেন।

 কোমায় চলে যাওয়া

কোমায় চলে যাওয়া

২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর নবমীর রাতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন প্রিয়। তারপরে আর কোনওভাবেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। শরীর নড়াচড়া না করলেও শ্বাসপ্রশ্বাস, রক্তচাপ সব স্বাভাবিক ছিল। তবে পুরোপুরি কোমায় ছিলেন। আশপাশের কোনও ঘটনায় কোমায় চলে যাওয়ার পর অনুভব করতে পারেননি।

English summary
Life and political career of Congress leader Priya Ranjan Dasmunshi
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X