জিএসটি চালুর পর অনলাইন কেনাকাটা করতে সমস্যায় পড়বেন, জেনে নিন কীভাবে
১ জুলাই জিএসটি বলবৎ হওয়ার পর বেশিরভাগ অনলাইন বিক্রিত পণ্যেরই দাম বেড়ে যাবে। কীভাবে তা বাড়বে জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
জিএসটি চালু হতে আর মাত্র একদিন বাকী। ৩০ জুন মধ্যরাত থেকেই সারা দেশে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি বলবৎ হতে চলেছে। এবং তার আগে ই-কমার্স সাইটগুলি জমে থাকা স্টক শেষ করতে ব্যস্ত। গ্রাহকদের ২৫ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে অনলাইন সংস্থাগুলি। [আরও পড়ুন : নিত্য ব্যবহারকারী ভোগ্যপণ্যের উপরে GST-র কী প্রভাব পড়বে]
তবে এই চিত্রটাই বদলে যাবে ১ জুলাই জিএসটি বলবৎ হওয়ার পর থেকে। বেশিরভাগ অনলাইন বিক্রিত পণ্যেরই দাম বেড়ে যাবে। এবং কীভাবে তা বাড়বে জেনে নেওয়া যাক একনজরে। [আরও পড়ুন : শুধু জিএসটি নয়, ১ জুলাই থেকে আরও অনেক কিছু বদলে যেতে চলেছে, জানুন এখুনি]
ট্যাক্স কালেকশন
বর্তমানে ই-কমার্স কোম্পানিগুলি কোনওভাবেই কর আদায় করে না। তবে জিএসটি বলবৎ হলে নির্দিষ্ট ১ শতাংশ হারে তারা কর আদায় করবে। ওয়েবসাইটে যে পণ্যই গ্রাহক কিনুন না কেন, ১ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এর ফলে অনলাইন সামগ্রীর দাম বাড়বে।
তাড়াতাড়ি ডেলিভারি
জিএসটির অধীনে আপনার অর্ডার করা পণ্য অনেক তাড়াতাড়ি আপনার কাছে পৌঁছবে। কারণ প্রতিটি রাজ্যে আগে যত কাগজপত্রে সই করানোর ঝামেলা ছিল তা আর থাকবে না। জিএসটির অধীনে বাড়তি কাগজপত্রের ঝামেলা দূর হতে চলেছে। ফলে অর্ডার করা জিনিস তাড়াতাড়ি হাতে পাবেন।
ডিসকাউন্টের দিন শেষ
মেগা ডিসকাউন্ট, বিগ সেল-এর মতো শব্দের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন? অভ্যাস ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। কারণ এরপর এমন সেল দিতে গেলেই সংস্থাকে বাড়তি কর চোকাতে হবে। এখন থেকে সাপ্লায়ারের কাছ থেকে জিনিস কিনতে গেলে অনলাইন কোম্পানিগুলিকে কর চোকাতে হবে। ফলে ফের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ডিসকাউন্ট সেল দিতে কেউই তেমন রাজি হবে না।
বিদেশি অনলাইন সংস্থার ক্ষেত্রে
যদি আপনি অ্যামাজন বা ইবে ডট কম থেকে সামগ্রী কেনেন সেক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রায় তা বদলে যায়। এই ধরনের ই কমার্স কোম্পানির ক্ষেত্রে কী নিয়ম করা যায় তা নিয়ে সরকার এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।
ফেরত দেওয়া বা বাতিল করা কঠিন হতে চলেছে
ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাকাটা করার পরে জিনিস পছন্দ না হলে বাতিল করা বা ফেরত দেওয়া কঠিন হতে চলেছে। কারণ ফেরত দেওয়ার রেট ১৮ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ফেরত দিলেই সংস্থাকে এই করের বোঝা বইতে হবে। পরে তা সরকার থেকে পাওয়া যাবে। ফলে এই নিয়ে সমস্যা গভীর হতে চলেছে। কীভাবে সরকার ও ই কমার্স কোম্পানি এটিকে সামলায় তাই এখন দেখার।