স্ট্রোকের বিপদ চিকিৎসকের চেয়েও ভালো চিনিয়ে দিতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বলছে নয়া সমীক্ষা
হৃদরোগ অনেকটা যমদূতের মতই এসে হাজির হয় মানুষের জীবনে। সুস্থ সবল মানুষও আচমা হৃদরোগের শিকার হতে পারেন।
হৃদরোগ অনেকটা যমদূতের মতই এসে হাজির হয় মানুষের জীবনে। সুস্থ সবল মানুষও আচমকা হৃদরোগের শিকার হতে পারেন যে কোনও মুহূর্তে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার এক নতুন উপায় বের করেছে একটি প্রযুক্তি। তার মাধ্যমে নাকি আগেই বোঝা যাবে কখন আসতে পারে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।
আগেই জানা যাবে রক্তের প্রবাহ
রক্তে চাপই হৃদরোগের অন্যতম কারণ। সেই কারণের মূলে পৌঁছে যাবে গবেষকদের এই প্রযুক্তি। যার সাহায্যে আগেই জানা যাবে শরীরে রক্তের প্রবাহ কোন দিকে কেমন। তার তারতম্য কতটা হচ্ছে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সেই রক্তের প্রবাহ েদখেই বলে দেওয়া যায় কখন হতে পারে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক। এমনই দাবি করেছেন গবেষকরা। তাঁরা নিজেরা পরীক্ষাও করেছে রক্তের প্রবাহ জানতে। তাতে দেখা গিয়েছে একেবারে সঠিক তথ্য দিচ্ছে এই পদ্ধতি বা প্রযুক্তি।
চিকিৎসকদের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ
প্রায় ১০০০ জন রোগীর সিএমআরআই এবং স্ক্যান রিপোর্ট দেখে একটি অটোমেটেড আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স টেকনিক গবেষকরা বের করেছে যাতে করে সঙ্গে সঙ্গে রক্তের প্রবাহ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। হৃদপিন্ড এবং পেশির মধ্যে রক্ত চলাচল কতটা স্বাভাবিক রয়েছে সেটা এই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই জানতে পারবেন চিকিৎসকরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব রোগীর রক্তের প্রবাহ ধীরে হয় তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। হৃদরোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তাঁদের।
অনেক বেশি বিশ্বস্ত এই পদ্ধতি
সিএমআরআই বা স্ক্যানের থেকেও বিশ্বস্ত এই পদ্ধতি। এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। চিকিৎসকরা এই রিপোর্ট দেখে রোগীকে ওষুধ দিতে পারেন বা তাঁর চিকিৎসা করতে পারেন। এতে রোগী সহজে হৃদরোগে আক্রান্ত হবেন না। এবং হৃদরোগের মত বড় কোনও বিপদ এড়ানো যাবে অনায়াসে।