ওজন কমাতে কি ডায়েট করছেন! তাহলে এখনই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে
শরীর সুস্থ রাখতে ডায়েট করছেন। ওজন কমাতে নারকেল তেল, ক্রিম কিংবা বাটার দিয়ে কফি খাচ্ছেন। কিংবা বড় একপিস চিজ খাচ্ছেন। এই হাই ফ্যাটের ডায়েটকে টেকনিক্যালি কেটো ডায়েট বলা হয়।
শরীর সুস্থ রাখতে ডায়েট করছেন। ওজন কমাতে নারকেল তেল, ক্রিম কিংবা বাটার দিয়ে কফি খাচ্ছেন। কিংবা বড় একপিস চিজ খাচ্ছেন। এই হাই ফ্যাটের ডায়েটকে টেকনিক্যালি কেটো ডায়েট বলা হয়। যদি এই ডায়েট পছন্দ করেন তাহলে এখনও সাবধান হওয়া উচিত।
কেটো ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। তবে খুব কম পরিমাণে প্রোটিন থাকে। বলতে গেলে কার্বোহাইড্রেড থাকেই না। কৃত্রিম খিদে তৈরি করে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই ডায়েট লিভারে কেটোন তৈরি করে।
এই ধরনের ডায়েট সাম্প্রতিক কালে খুব জনপ্রিয় হয়েছে। আর যাঁরা তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চাইছেন এই পদ্ধতিকেই বেছে নিচ্ছেন।
কনভালশনের চিকিৎসায় ১৯২০ সালের প্রথমের দিকে এই ডায়েট প্রক্রিয়ার ব্যবহার হয়েছিল।
অনাহারে থাকলে কনভালশনের উন্নতি হয়। এটা সবারই জানা। মস্তিস্কে ইলেকট্রিকাল এক্সাইটেবিলিটি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাহায্য করে কেটোজেনিক ডায়েট।
ওজন কমাতে কেটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বাড়লেও এর বিপরীত প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। কেটো ডায়েটের হাই ফ্যাট আর্টারিগুলিতে বাধা তৈরি করতে পারে।
বেশ কয়েকবছর আগে পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজির জার্নালে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের চিকিৎসক গবেষক নাগা সিরিকোন্ডার গবেষণা প্রকাশিত হয়। সেখান থেকেই প্রথমবার জানা যায়, কেটোজেনিক ডায়েট কার্ডিওমায়োপ্যাথি এবং হার্ট রিদম ডিস্টারব্যান্স তৈরি করে। সিরিকোন্ডা গবেষণায় দেখিয়েছেন, সেলেনিয়াম কমে যাওয়ায় হার্ট ডিস্টারব্যান্স হয়। এরপরের থেকেই কেটোনাল ডায়েটে সেলেনিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
একান্তই যদি কেউ কেটো ডায়েট পছন্দ করেন, তাহলে নিউট্রিশনিস্ট এক্সপার্টের অধীনেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।