কুম্বলের রেকর্ড ভাঙার ক্ষমতা রয়েছে অশ্বিনের, মনে করেন জাহির
কুম্বলের রেকর্ড ভাঙার ক্ষমতা রয়েছে অশ্বিনের, মনে করেন জাহির
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে একাধিক নজির গড়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর আঙুলের জাদু'তে দ্বিতীয় টেস্টে কিউয়ি ব্রিগেড'কে স্পিনের চক্রবূহে বিধ্বস্ত করেছে ভারত। প্রথম টেস্ট ড্র হলেও দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের জয়ের পথ প্রসস্থ করার নেপথ্যে আশ্বিনের অবদান অবদান অনস্বীকার্য।
৩৫ বছর বয়সী এই স্পিনার যেমন ভারতের জয়ের নেপথ্যে অবদান রখেছেন, তেমনই ওয়াংখেড়ে'তে ৮ উইকেট নিয়ে হরভজন সিং-কে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। ভারতীয়দরে মধ্যে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট সংগ্রহকারীর তালিকায় উঠে এসেছেন তৃতীয় স্থানে। মাত্র ৮১ টেস্টে ৪২৭টি উইকেট নেওয়া এই অফস্পিনারে আগে শুধু রয়েছে কপিল দেব (৪৩৪) এবং অনিল কুম্বলে (৬১৯)।
১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিলের উইকেট টপকে যাওয়া অশ্বিনের ক্ষেত্রে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল তিনি কি পারবেন অনিল কুম্বলে'কে টপকে টেস্টে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হতে? ভারতীয় ক্রিকেটার অনুরাগীদের মনে তৈরি হওয়া এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন কুম্বলের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা জাহির খান।
জাতীয় দলের এই প্রাক্তন পেসারের মতে, অশ্বিনের হাতে সময়ে রয়েছে এবং তিনি যদি এই ধারাবাহকতা বজায় রাখতে পারেন তা হলে কুম্বলের রেকর্ড অবশ্যই ভাঙা সম্ভব। একটি বেসরকারি সংস্থার ইভেন্টে জাহির বলেছে, "অশ্বিন নিজের জন্য একটা স্তর তৈরি করে নিয়েছে। শুধু টেস্টেই নয়, ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য সাদা বলের ক্রিকেটেও রয়েছে ও। যখনই ও হাতে বল তুলে নেয়, তখনই আপনি জানবেন এমন কিছু করবে যাতে ব্যাক ফুটে থাকা ব্যাটসম্যান ফ্রন ফুটে আসতে বাধ্য হয় এবং একই রকম ফ্রন্ট ফুটে খেলতে থাকা ব্যাটসম্যানকে ব্যাক ফুটে খেলতে বাধ্য করে। ওর হাতে এখনও সময় রয়েছে। ধারাবাহিকতা ধরে বজায় রাখলে কুম্বলের রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ওর সামনে।"
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। কানপুরে প্রথম টেস্টে দু'টি ইনিংসে তিনটি করে উইকেট পান তিনি। মু্ম্বই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর শিকার আটটি উইকেট। মাত্র ৪২ রানের বিনিয়মে এই ৮ উইকেট তুলে নেন ভারতীয় স্পিন বিভাগের অন্যতম স্তম্ভ। এ দিন অশ্বিনের সাফল্যের পাশাপাশি ভারতে এই সিরিজ জয়ে উচ্ছ্বসিত জাহিরে সংযোজন, "ঘরের মাঠে এই ধরনের দাপুটে জয় তৃপ্তি দেয়। পুরনো দিনের সোনালি স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। প্রথম ইনিংসে কোনও দাগ কাটতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ন্ত যাদবের প্রত্যাবর্তন আমায় মুদ্ধ করেছে।"