পন্টিং থেকে ম্যাকগ্রা, তাবড় বিদেশি ক্রিকেটারদের আরও যে নামে চেনা যায়
পন্টিং থেকে ম্য়াকগ্রা, তাবড় বিদেশি ক্রিকেটারদের আরও যে নামে চেনা যায়
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের গণ্ডী পেরিয়ে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার ব্যাপ্তি যে ক্রমশ বাড়ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে জনপ্রিয় হচ্ছেন বড় বড় ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের খেলোয়াড়েরা। যাঁদের আবার বড় বড় নাম ছেড়ে ছদ্মনামেও ডাকা হয় অনেক সময়। সেই নামগুলি দেখে নেওয়া যাক।
ক্রিস গেইল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কিংবদন্তি হিসেবে পরিচিত ক্রিস গেইল আকাশচুম্বী শট এবং মজাদার চরিত্র হিসেবে খ্যাত। দীর্ঘকায় ক্রিকেটার যতটা স্বভাবশান্ত, ততটাই বিধ্বংসী ব্যাট হাতে। টি২০ ক্রিকেটে কার্যত সব ধরনের রেকর্ডের মালিক গেইলকে 'ইউনিভার্স বস' বলে সম্বোধন করা হয়। তাঁর বাদশাহী হাঁটাচলার মধ্যে রয়েছে অন্য আভিজাত্য।
স্টিভ স্মিথ
লেগ স্পিনার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করা স্টিভ স্মিথ অচিরেই বিশ্বের এ প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই সমানভাবে সাবলীল। আবার তাঁর ব্যাটিং স্টাইল বড় অদ্ভুত। যা স্মিথকে বিশ্বের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের থেকে স্বতন্ত্র করেছে। ভালোবেসে তাঁকে 'স্মুজ' বলে ডাকা হয় ক্রিকেট মহলে। মাইক হাসির থেকে এই নামটি পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ।
রিকি পন্টিং
অস্ট্রেলিয়াকে ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করা রিকি পন্টিং বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন। মোট আন্তর্জাতিক রান ও শতরান সংখ্যায় বিশ্বের প্রথম তিন ক্রিকেটারের মধ্যে তাঁর স্থান। সেই কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটারকে 'পান্টার' বলে সম্বোধন করা হয়। ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচে এই নামের জার্সি পরেই মাঠে নেমেছিলেন পন্টিং।
মাইকেল হাসি
মাইকেল বিভানের পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিভাগের মিডিল অর্ডারকে ভরসা জোগানো ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন মাইকেল হাসি। ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই যাঁর ব্যাটিং গড় এবং স্ট্রাইক রেট ছিল দেখার মতো। তীব্র ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও টেল এন্ডারদের নিয়ে কীভাবে ইনিংসকে আরও অনেকটা টেনে নিয়ে যেতে হয়, তা বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন প্রাক্তন অজি ব্যাটসম্যান। বড় শট নেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত স্ট্রাইক রোটেট করতেও সিদ্ধহস্ত এই ব্যাটসম্যানের অন্য নাম 'মিস্টার ক্রিকেট'।
শোয়েব আখতার
ঘণ্টার ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটে বলে রিভার্স সুইং ছিল তাঁর মূল অস্ত্র। তাতে কাত হয়েছে বিশ্বের তাবড় ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলারকে 'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস' বলে সম্বোধন করা হয়।
গ্লেন ম্য়াকগ্রা
টেস্ট ৫০০ উইকেট নিয়ে ফাস্ট বোলিং-কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া গ্লেন ম্যাকগ্রা অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তিদের মধ্যে একজন। সেই তাঁকেই 'পিজিয়ন' বা 'পায়রা' বলে সম্বোধন করা হয়। পায়ের অদ্ভুত গঠন ও হাঁটাচলার জন্য ম্যাকগ্রাকে এই নাম দিয়েছিলেন তাঁর নিউ সাউথ ওয়েলসের সতীর্থরা।