বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে সংঘর্ষ, তৃতীয় একদিনের ম্যাচে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার
বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে সংঘর্ষ তৃতীয় একদিনের ম্যাচে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার
ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে বাজে ভাবে আহত হলেন শ্রীলঙ্কার আশিন বানদারা। বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে নিজের দলের খেলোয়াড় জেফরি ভান্ডারসের সঙ্গে সরাসরি ধাক্কা লাগে তাঁর। তিরুবন্তপুরমের গ্রিনফিল্ড স্টিডিয়ামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভারতীয় ইনিংসের ৪৩ ওভারের শেষের আগের বলে চামিকা করুণারত্নের বল পুল করেন বিরাট কোহলি। স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারির দিকে এগোচ্ছিল বলটি। ভান্ডারসে এবং বানদারা উভয়ই এই চার বাঁচানোর জন্য চেষ্টায় এগিয়ে আসেন এবং নিজের মধ্যে ধাক্কা লাগে তাঁদের। ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে নিজের বাম দিকে বলের পিছনে ধাওয়া করেন বানদারা এবং ভান্ডারসে ডিপ মিড উইকেট থেকে ডান দিকে বাউন্ডারি বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। বানদারার হাঁটু গিয়ে লাগে ভান্ডারসের পেটে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠের ম্যে আসেন শ্রীলঙ্কার ফিজিওথেরাপিস্ট এবং দুই জন ক্রিকেটারের চোট পরীক্ষা করেন। কিছুক্ষণ পর ভারতের মেডিক্যাল স্টাফও যায় মাঠের মধ্যে। মাঠে উপস্থিত সমর্থকদের চোখে মুখেও ছিল চিন্তার ছাপ। এর পরই মাঠের মধ্যে আসে স্ট্রেচার এবং বানদারাকে স্ট্রেচারে শুইয়ে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিছু সময় মাঠের বাইরে থাকার পর ভান্ডারসে আবারও মাঠে ফেরেন। এই দুই ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে শ্রীলঙ্গার হয়ে মাঠে নামেন দুই পরবির্ত খেলোয়াড়ধ ধনঞ্জয় ডি সিলভা এবং দুনিথ ওয়েলালেজ। এর ফলে শতরান করার জন্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয় কোহলিকে। ওই ওভারের অন্তিম বলেই নিজের শতরান পূর্ণ করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
ভারত সফরে আসা শ্রীলঙ্কা দল এই ম্যাচে ধননঞ্জয় ডি সিলভা এবং ওয়েলালেজকে বিশ্রাম দিয়েছিল। নতুন যে দুই খেলোয়াড় এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলার জন্য প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যেই একজন বানদারা। এই ম্যাচে ব্যাটিং করতে নামতে পারেননি আশিন বানদারা। শ্রীলঙ্কাকে সিরিজের শেষ ম্যাচেও পরাজিত করেছে ভারত। বরং বাকি দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে তাঁরা লড়াই পর্যন্ত দিতে পারেনি। ভারতের ৩৯০/৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৭৩ রানে। এই ম্যাচে ভারতের হয়ে জোড়া শতরান করেন শুভমন গিল এবং বিরাট কোহলি। বল হাচে ভারতের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। দু'টি করে উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি এবং কুলদীপ যাদব। এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল হার্দিক পাণ্ডিয়াকে।