বাংলা চণ্ডীগড়কে হারাতে ভরসা রাখছে বোলারদের উপরই, রঞ্জির নক আউট পর্বের আগে চিন্তায় রাখছে কোন বিভাগ?
রঞ্জি ট্রফিতে জয়ের হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায় অভিমন্যু ঈশ্বরনের বাংলা। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে বাংলার ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় গুটিয়ে গিয়েছিল ২০৬ রানে। এরপর ৮ উইকেটে ১৮১ রান তুলে বাংলা দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। তৃতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড়ের স্কোর ২ উইকেটে ১৪। জিততে শেষ দিনে তাদের দরকার ৩৯৯ রান, বাংলার দরকার ৮ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড়ের স্কোর ছিল ৫২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩১। শেষ অবধি তাদের প্রথম ইনিংসে ওঠে ২০৬ রান, ৬৮.২ ওভারে। গতকালের অপরাজিত ব্যাটার অঙ্কিত কৌশিক এদিন ব্যক্তিগত ৬৩ রানে আউট হন। জসকরণ সিং করেন ৩১। নীলকণ্ঠ দাস তিনটি এবং মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল ও সায়নশেখর মণ্ডল দুটি করে উইকেট দখল করেন। একটি উইকেট পেয়েছেন শাহবাজ আহমেদ।
বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬.১ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। ৯৪ বল খেলে সর্বাধিক ৪৩ রান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। অভিষেক পোড়েল ৬৩ বলে ৩৮ ও শাহবাজ আহমেদ ৪৬ বলে ৩২ রান করেন। অভিমন্যু ঈশ্বরন ১৪, সুদীপ ঘরামি ১৩, ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী ৬, মনোজ তিওয়ারি ১৩, সায়নশেখর মণ্ডল ৯ রানে আউট হন। মুকেশ কুমার অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। শ্রেষ্ঠ নির্মোহী, জসকরণ সিং, গুরিন্দর সিং ও গৌরব গম্ভীর দুটি করে উইকেট দখল করেন।
জয়ের জন্য ৪১৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড়ের স্কোর ৭.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৪। আর্সলান খান ৪ রানে মুকেশ কুমারের বলে এবং হার্নুর সিং ১০ রান করে ঈশান পোড়েলের শিকার হন। রানের মধ্যে ফিরতে পেরে খুশি অনুষ্টুপ। তবে তাঁর দাবি, দলের এখনও সেরা খেলা দেখানো বাকি রয়েছে। এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বড় রান এলেও ব্যাটিংয়ে এখনও যে দল ধারাবাহিক নয় তা মেনে নিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন এই অধিনায়ক। বোলারদের উপর আস্থা রাখছেন রুকু দলের জয় ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে। তিনি বলেন, উইকেট মন্থর হয়ে যাওয়ায় উইকেট পেতে কঠিন পরিশ্রম চালাতে হবে। বোলাররা আগেও আমাদের জিতিয়েছেন। এই ম্যাচে উইকেট থেকে বেশি সাহায্য না পেলেও তাঁরা জেতাবেন এই আশা রাখি। শেষ দিনের প্রথম সেশনেই বিপক্ষের কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে চাইছে বাংলা শিবির।