এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াই ভারতের, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা জোরালো
এশিয়া কাপে কাল দুবাইয়ে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি ভারত ও শ্রীলঙ্কা। দাসুন শনাকার দল যদি জিতে যায় তাহলে ফাইনালের দিকে পা বাড়াবে। ভারত যদি হেরে যায় তাহলে রোহিত শর্মাদের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকে। ভারত জিতলে জমে যাবে সুপার ফোরের লড়াই।
ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা
ভারতের বোলিং আক্রমণে অনভিজ্ঞতা প্রকট হচ্ছে। আবার শুরু থেকে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করলেও মাঝের ওভার বা ডেথ ওভারে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারছে না ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গতকাল অর্শদীপ সিংয়ের ক্যাচ মিসের বড় খেসারৎ দিতে হয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে দেশের মাটিতে দুরমুশ করা ভারতের উপর কালকের ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই চাপ থাকবে। ভারত চাইবে ফাইনালে উঠতে দুটি ম্যাচেই জিততে। তবে প্রতিপক্ষের নাম দেখে দুটি ম্যাচেই সহজ জয় আসবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। চলতি এশিয়া কাপে আফগানিস্তান গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে হারিয়েছিল। যেভাবে আফগানিস্তান খেলছে তাতে ভারত ও পাকিস্তানের কাজ মোটেই সহজ হবে না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতলে রোহিত শর্মার দল নিশ্চিতভাবেই কিছুটা অক্সিজেন পাবে।
ভারতের কম্বিনেশন
যুজবেন্দ্র চাহাল চেনা ছন্দে নেই। শ্রীলঙ্কা ম্য়াচে তাঁর জ্বলে ওঠার উপর নির্ভর করবে ভারতের সাফল্য। কালকের ম্যাচে খেলার জন্য প্রস্তুত আবেশ খান। তিনি দলে এলে বাদ পড়তে পারেন রবি বিষ্ণোই, যতই তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভালো বোলিং করুন না কেন। সেক্ষেত্রে ভুবনেশ্বর কুমার, আবেশ খান ও অর্শদীপ সিংয়ের সঙ্গে চতুর্থ সিমারের দায়িত্ব সামলাবেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দীপক হুডা দলে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আবার তাঁর জায়গায় বোলিং বৈচিত্র্য আনতে খেলানো হতে পারে ফর্মে থাকা অক্ষর প্যাটেলকে। ঋষভ পন্থের জায়গায় ভারতের একাদশে ফিনিশার দীনেশ কার্তিককে ফেরানো হতে পারে। চলতি এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের কাছে হারের পর কামব্যাক করে টানা দুটি জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এবার ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। দুবাইয়ে পিচ ভালো থাকলে এই ম্যাচও হাই স্কোরিং হতে পারে। ভারত কাল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চাইবে।
শ্রীলঙ্কা আত্মবিশ্বাসী
শ্রীলঙ্কা অবশ্য জয়ের হ্যাটট্রিক নিশ্চিত করে ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে ফেভারিট থাকতে প্রথম একাদশে রদবদলের পথে হাঁটবে না। পাকিস্তানের স্পিনাররা ভারতের রান তোলার গতিতে রাশ টেনেছিলেন। ঠিক সেভাবেই ভারতীয় ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে দাসুন শনাকার বড় অস্ত্র হতে পারেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা ও মাহিশ থিকশানা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পাশাপাশি আইপিএলেও বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে। শক্তির নিরিখে ভারত এগিয়ে থাকলেও টি ২০ আন্তর্জাতিকে ফেভারিট কেউ নন। শ্রীলঙ্কা চলতি এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১০৫ রানে অল আউট হয়েছিল, আফগানরা রান তুলে নিয়েছিল ৫৯ বলে। যদিও এরপর শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৮৪ রান তাড়া করে জেতে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় আসে ১৭৬ রান তাড়া করে। যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
নজরে ১১
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভারত ও শ্রীলঙ্কার একাদশ কেমন হতে পারে-
ভারত- লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ডিয়া, ঋষভ পন্থ বা দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), দীপক হুডা বা অক্ষর প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, আবেশ খান, অর্শদীপ সিং, যুজবেন্দ্র চাহাল বা রবি বিষ্ণোই।
শ্রীলঙ্কা- পাথুম নিসঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), চরিথ আসালঙ্কা, দানুষ্কা গুণতিলকা, ভানুকা রাজাপক্ষ, দাসুন শনাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা, চামিকা করুণারত্নে, মাহিশ থিকশানা, আসিথা ফার্নান্দো, দিলশান মাদুশঙ্কা।
এশিয়া কাপে কাল ভারত-শ্রীলঙ্কা! রোহিত-বিরাটরা কীভাবে পৌঁছে যেতে পারেন ফাইনালে?