রামপুরহাট অগ্নিকাণ্ডে ৮ জনের মৃত্যু, ৭ জনের দেহ একই বাড়িতে! মোটিভ নিয়ে ইঙ্গিত ডিজির
রামপুরহাট অগ্নিকাণ্ডে ৮ জনের মৃত্যু, ৭ জনের দেহ একই বাড়িতে! মোটিভ নিয়ে ইঙ্গিত ডিজির
রামপুরহাট অগ্নিকাণ্ডে তিন সদস্যের সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই এই ঘটনার মোটিভ সামনে আসবে। এই ঘটনায় মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তার মধ্যে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি বাড়ি থেকেই। এদিন সকালে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় উপপ্রধান খুনের ঘটনায় এক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে বলে জানিয়েছেন ডিজি। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে।
বীরভূমের রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কতজন মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। সেই ধন্দের নিবৃত্তি ঘটে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের মন্তব্যে। তিনি জানিয়ে দেন, এই ঘটনায় একটি বাড়ি থেকেই সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিন হাসপাতালে একজনের মৃত্যুর পর মোট মৃতের সংখ্যা ৮ জন।
মোট সাত-আটটি বাড়িতে আগুন লাগে বলে জানান ডিজি। সাত-আটটি বাড়িই এক লাগোয়া। জুড়ে রয়েছে বলেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তিনি। একটি বাড়িতেই মূলত আগুন লাগে। এখন ওই আগুন লাগানো হয় নাকি আগুন লেগে যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে উপপ্রধান খুনের এক ঘণ্টার মধ্যেই তা ঘটে। এই খুনের সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কোনও যোগসাজোশ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সিট।
ডিজি জানিয়েছেন, এই সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে এডিজি-সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্ব। তিন সদস্যের টিমে রয়েছেন ভরতলাল মিনা ও মীরজ খালিদ। পরে আরও কয়েকজনকং সংযুক্ত করা হতে পারে এই টিমে। এদিন ওসি ও এসডিপিওকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানান ডিজি।
তবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, শর্ট সার্কিটের জন্য যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তাহলে ওসি এবং এসডিপিও কেন ক্লোজড হবে। বলা হচ্ছে শর্ট সার্কিট বা গ্রাম্য বিবাদ। বিরোধীরা বলছেন, এটা আসলে গণহত্যা। উপপ্রধান খুনের পর তাঁর অনুগামীদের তাণ্ডবে আগুন জ্বলেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে বর্ণনা করা হয়।
Recommended Video
প্রশ্ন উঠেছে সিট গঠন নিয়েও। একের পর এক ঘটনায় ঘটছে রাজ্যে। প্রায় প্রতি ঘটনাতেই সিট গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু তার কোনও ফল নেই। রাজ্য পুলিশের ডিজি বলছেন, রামপুরহাটে সাত-আটটি বাড়িতে আগুন লাগার নেপথ্য কারণ কী, তার পিছনে কী কারণ রয়েছে. তা খতিয়ে দেখতে সিট গঠন করা হয়েছে। আনিস-কাণ্ডেও সিট গঠন হয়েছিল, এখনও তার কোনও কিনারা হয়নি। ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সিট গঠন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।