প্রয়াত কাজল সিনহার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে
সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই উপনির্বাচন শেষ হয়েছে বাংলাতে। সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই কার্যত চার বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই একের পর এক অভিযোগের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই উপনির্বাচন শেষ হয়েছে বাংলাতে। সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই কার্যত চার বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই একের পর এক অভিযোগের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট সহ একাধিক অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। শুধু তাই নয়, মানুষকে ভয় দেখানোর অভিযোগ বিজেপির। পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের তরফেও। কার্যত সারাদিনই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরব থাকে রাজ্য-রাজনীতি। আর একেবারে ভোটের শেষবেলাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল খড়দা অঞ্চলে।
প্রায়ত তৃণমূল নেতা কাজল সিনহার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক উত্তেজনা সেখানে। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পড়ুয়া ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় কার্যত গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়। যাচ্ছেন শোভন দেব চট্টপাধ্যায়ও। ঘটনার পরেই কার্যত রনক্ষেত্রের ভূমিকা নেয় এলাকা। বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তৃনমূল কর্মীরা। শুধু তাই নয়, বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগানও উঠতে থাকে।
ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে। শুধু তাই নয়, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছেন শোভনদেববাবু।
যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়। তাঁর দাবি, বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট চলছিল। আর সেই অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরা হয়। তাই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। আর সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করেছিল। তবে কাজলবাবুর ছেলেকে মারধর নিয়ে কিছু তাঁর জানা নেই বলেই দাবি।
তবে এই ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রারতঘী। জানা গিয়েছে, একেবারে ভোট শেষ হওয়ার আগে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায় ঘটনার সময়ে মায়ের সঙ্গে এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রয়াত তৃণমূল নেতার ছেলে। আর সেই সময়ে বাহিনীর লাঠিচার্জের মধ্যে পড়ে যেতে হয়। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে বাচ্ছাটি।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকাতে। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও।