ভরা শ্রাবণেও এশিয়ার অন্যতম বড় বাজারে ইলিশের ভাড়ার শূন্য! কারণ কী?
কথায় আছে ইলিশ প্রিয় বাঙালি! আর বৃষ্টি পড়লে তো কথাই নেই। খিচুড়ি হোক কিংবা সাদা ভাত, সঙ্গে ইলিশ ভাপা কিংবা সরষে ইলিশ মাস্ট। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেভাবে বাঙালির পাতে ইলিশ পড়ছে না। আর যা পড়ছে সেটাও প্রচুর দাম। যা মধ্যবিত্ত
কথায় আছে ইলিশ প্রিয় বাঙালি! আর বৃষ্টি পড়লে তো কথাই নেই। খিচুড়ি হোক কিংবা সাদা ভাত, সঙ্গে ইলিশ ভাপা কিংবা সরষে ইলিশ মাস্ট। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেভাবে বাঙালির পাতে ইলিশ পড়ছে না। আর যা পড়ছে সেটাও প্রচুর দাম। যা মধ্যবিত্তের কেনার বাইরেই। কিন্তু কেন এমন অবস্থা!
ইলিশ জালে ধরা দিচ্ছে না? নাকি এর পিছনেও দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন! কি বলছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। শ্রাবণ কাটতে চললেও কেন এই বছর ইলিশ নেই বাজারে।
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মৎস্যবন্দর
ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্রবাজার। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মৎস্যবন্দর। আড়তও বটে। বর্ষাকাল মানেই এই বাজারে চরম ব্যস্ততা। ডায়মন্ড হারবার, সুলতানপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা মৎস্যবন্দরগুলিতে ইলিশ ভর্তি ট্রলার ভেড়ে। এরপর সেখান থেকে সোজা চলে আসে এই নগেন্দ্রবাজারে। আর এখান থেকেই কলকাতা তো বটেই, গোটা দেশে ইলিশ সহ বিভিন্ন মাছ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে এই বাজারের ছবিটা।
কেন মাছ ধরা পড়ছে না
একে করোনা'র লম্বা প্রভাব! করোনার কারণে বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল এই বাজার। অন্যদিকে সেভাবে ইলিশ জালে ধরা না পড়ায় বাজারে যেন শ্মশানের স্তব্ধতা। কিছু গাড়ি ঢুকলেও তা মোটেই আশার আলো দেখাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর এর ফলে প্রত্যেকদিনই ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কেন এমন হাল! মৎস্যজীবীরা বলছেন পরিবেশ অনেকটাই বদলে গেছে। কখনও গরম আর আবার কখনও নিম্নচাপের কারণে সেভাবে ইলিশ ধরা দিচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
কীভাবে সংসার চলবে?
এমনকি খোকা ইলিশ ধরে নেওয়াটাও মরশুমে ইলিশ না পাওয়ার অন্যতম কারন বলছেন মৎস্যজীবীরা। নগেন্দ্রবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী বলছে, এই বছর অনেক মাছ কম উঠছে। যাও উঠছে তাও অনেক দাম বলে দাবি ধনঞ্জয় মন্ডলের। তাঁর দাবি, এই বাজারের উপর লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়িত। এভাবে মাছ কমে গেলে কীভাবে সংসার চলবে? আক্ষেপ ওই ব্যবসায়ীর। এই অবস্থায় ফের নিম্নচাপের ভ্রকুটি। দ্রুত মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। এর ফলে ফের ইলিশ ধরায় ধাক্কা লাগবে বলে মত ব্যবসায়ীর।
মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে
এই বছর দেখা নেই ইলিশের। যা আছে তা মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে। শুধু তাই নয়, আড়তে যে পাল্লাটায় টন টন ইলিশ উঠত ইলিশের মরশুমে। সেখানে আজ তা খালি পড়ে রয়েছে। এর ফলে যেমন একদিকে মাথায় হাত পড়েছে মৎস্যজীবীদের, তেমনই মাথায় হাত আড়তদারদেরও। এমনকি খাদ্যরশিক বাঙালির পাত থেকেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে এই রুপালি শস্য। সবার একটাই আশা, বরা বর্ষায় জেলেদের জালে ধরা পড়ুক ইলিশ। ভরে উঠুক বাজার।