কাহানি ২ সিনেমা রিভিউ: চেনা রহস্যে অচেনা বিদ্যা
নতুন কাহানি নিয়ে ফিরে এসেছেন বিদ্যা বালন। বিদ্যা বাগচী নন, তিনি এবার দূর্গারানি সিং। কাহানির সিকোয়েল ভাবলে একটু ভুল হবে। তবে দ্বিতীয় ক্ষেপের কাহানিটা সুজয়োচিত হল না।
অভিনয়
:
বিদ্যা
বালন,
অর্জুন
রামপাল,
যুগল
হংসরাজ,
নাইসা
খান্না,
অম্বা
সান্যাল,
টোটা
রায়
চৌধুরি
পরিচালক
:
সুজয়
ঘোষ
প্রযোজক
:
সুজয়
ঘোষ,
জয়ন্তীলাল
গাদা
নতুন কাহানি নিয়ে ফিরে এসেছেন বিদ্যা বালন। বিদ্যা বাগচী নন, তিনি এবার দূর্গারানি সিং। কাহানির সিকোয়েল ভাবলে একটু ভুল হবে। কাহানির গল্পের সঙ্গে কাহানি ২-এর গল্পের কোনও যোগ নেই। তবে দ্বিতীয় ক্ষেপের কাহানিটা সুজয়োচিত হল না।
যদিও ছবির প্রথমার্ধ বেশ যত্ন-সহকারে সাজিয়েছেন সুজয়। অনেকদিন পর কোনও ছবির এত সুন্দর প্রথমার্ধ দেখা গেল। একটা ফ্রেমও নষ্ট করেননি পরিচালক। একজন বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে অদ্ভুৎ প্রগাঢ় ভালবাসার বন্ধন অনুভব করে যন্ত্রণাময় অতীততের ভার বয়ে চলা এক মহিলা।
এই কাহিনি নিয়েই গল্প এগোতে থাকে। চুপচাপ থাকা ছোট্ট মিনির (নাইসা সিং) কাছে যেতে চায় দূর্গা রানি সিং (বিদ্যা বালন)। তখনই মিনির কাকা (যুগল হংসরাজ) এবং অদ্ভুৎ আচরণের ঠাকুমা (অম্বা সান্যাল)-র সঙ্গে কুৎসিত এক পরিস্থিতিতে আটকে পড়ে।
এই পর্যন্ত ছবি বেশ ভাল চলছিল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে গল্প কালিংপম, চন্দনগর হয়ে কলকাতা পৌঁছয়। অপহরণ খুনের চেনা রহস্য। ছবিটার বেশ কিছু জায়গায় অমিতাভ অভিনীত 'তিন' ছবির সঙ্গে মিল পাবেন।
এই মামলা হাতে নেবেন অর্জুন রামপাল অর্থাৎ ইন্দ্রজিৎ সিং। কিন্তু বিদ্যাকে দূর্গারানি হিসাবে দেখে চমকে যায় সে। দুর্গারানী যে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে। এরপর কী করে গল্পের সমাধান হয় তার জন্য দেখতে হবে এই ছবি।
পরিচালনা : কড়া বাস্তবের কিছু ঝলক এই ছবিতে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন সুজয়। তবে কাহানি-র পর যে প্রত্যাশা সুজয়ের কাছ থেকে ছিল তা পুরো হল না। কিছু কিছু দৃশ্যে সুজয়ের পরিচালনাও বেশ আধ খাপছাড়া লেগেছে। তবে পরমুহূর্তেই আবার হয়তো কিছুটা সামলে নিয়েছেন নিজেকে। ছবির ক্লাইম্যাক্সে আরও হয়তো একটু মনোযোগ দিতে পারতেন পরিচালক।
অভিনয় : এই ছবির হাড় মাংস, সবই বিদ্যা বালন। এই ছবির অধিকাংশ খামতিই নিজের অভিনয় দিয়ে ঢাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। উদ্বেগ, দুঃখ, যন্ত্রণা অত্যন্ত সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন বিদ্যা।
অর্জুন রামপালের থেকে কখনওই বেশি কিছু প্রত্যাশা থাকে না। এই ছবিতেও বেশি কিছু প্রত্যাশার তৈরি হওয়ার সুযোগও দেননি অর্জুন। শুধু দেখতে সুন্দর পুরুষালি পুলিশ অফিসার হয়েই থেকে গিয়েছেন এই ছবিতে।
এই ছবির সারপ্রাইজ প্যাকেজ কিন্তু যুগল হংসরাজ। ছোট্টবেলায় মাসুম ছবিতে নিজের অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। আবার এক নতুন যুগলের মধ্য দক্ষ অভিনেতা পাওয়া গেল এই ছবিতে।
ছোট্ট নায়সা খান্নাও বেশ সাবলীল নিজের চরিত্রে। বিশেষ করে বিদ্যার সঙ্গে তার প্রতিটি দৃশ্য দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
উপসংহার : থ্রিলার যদি পছন্দ হয়, একবার এছবি নিশ্চয়ই দেখুন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পর্পকর্ন, ঠান্ডা পানীয় সঙ্গে নিয়ে বসতে ভুলবেন না। প্রয়োজন পড়বেই।