'স্মৃতি ইরানি পুরস্কারটি দিলেও একই রকম খুশি হতাম', জাতীয় পুরস্কার বিতর্কে মুখ খুললেন বনি
ঐতিহ্যময় সাজ পোশাকে মায়ের শাডি় পরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে ওঠেন শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী। সঙ্গে ছিলেন বোন খুশি ও বাবা বনি কাপুর।
ঐতিহ্যময় সাজ পোশাকে মায়ের শাডি় পরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে ওঠেন শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী। সঙ্গে ছিলেন বোন খুশি ও বাবা বনি কাপুর। প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর পক্ষ থেকে জাতীয় সম্মান নিতে বিজ্ঞান ভূনে উপস্থিত হন তাঁরা। 'মম' ছবিটির জন্য শ্রীদেবীকে শ্রেষ্ঠ অভিনত্রীর সম্মানে সম্মানিত করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৮। এদিকে, নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে যখন জাতীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান চলছে, তখন ৭০ জন ক্ষুব্ধ চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা বয়কট করেন অনুষ্ঠান।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম ১১ জন প্রাপক পুরস্কার গ্রহণ করেন। বাকিদের হাতে সম্মান তুলে দেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বাকিদের হাতে কেন ৬৪ বছরের প্রথ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পুরস্কারটি তুলে দিলেন না? এ প্রশ্নকে সামনে রেখে অপমানিত বোধ করেন ৭০ জন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপক। আর অসম্মানিত বোধ করাতেই তাঁরা অনুষ্ঠান বয়কট করেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন প্রয়াত শ্রীদেবীর স্বামী প্রযোজক বনি কাপুর।তিনি জানান, 'পুরস্কারটি তাঁকে স্মৃতি ইনারি দিলেও তিনি সমানভাবেই খুশি হতেন।'
I would have been equally happy if the Minister (I&B) had given me the award. It is ultimately the recognition of your work. I don't understand what the fuss is about: Boney Kapoor on #NationalFilmAwards row pic.twitter.com/rFGZYU7H7H
— ANI (@ANI) May 3, 2018
I would have been equally happy if the Minister (I&B) had given me the award. It is ultimately the recognition of your work. I don't understand what the fuss is about: Boney Kapoor on #NationalFilmAwards row pic.twitter.com/rFGZYU7H7H
— ANI (@ANI) May 3, 2018
উল্লেখ্য, বুধবার পুরস্কারের মহড়া চলাকালীন জানানো হয় পুরস্কার প্রাপকদের প্রথম ১১ জনের হাতেই কেবল পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ । বাকি ১২৯ জনকে পুরস্কার প্রদান করবেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিব। ৬৪ বছরের প্রথা ভেঙে এই নতুন নিয়ম ঘিরেই ক্ষুব্ধ হন পুরস্কার প্রাপকরা। শুরু হয় হইচই। পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে বাকি ১২৯ জন অপমানিত বোধ করেছেন এই নতুন প্রথা নিয়ে। যাঁরা অনুষ্ঠান বয়কট করেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও অতনু ঘোষ। অতনু ঘোষের ছবি 'ময়ূরাক্ষী' সেরা বাংলা ছবি মনোনীত হয়েছে, অন্যদিকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'নগর কীর্তন' ভূষিত হয় জাতীয় সম্মানে। 'নগরকীর্তন' ছবির জন্য সেরা অভিনেতার সম্মান পান ঋদ্ধি সেন।
[আরও পড়ুন: ৬০ কি.মি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া, জেনে নিন আজ রাজ্যের আবহাওয়ার পূর্বাভাস ]