শুরু হয়ে গেল বাঙালীর উৎসব! নয়া ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নিয়ে হাজির ম্যাক্স, সঙ্গে ইশা–অর্জুন
সারা বছর ধরে বাঙালীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন কবে দুর্গাপুজো আসবে। কারণ পুজোর কিছুদিন আগে থেকেই সব টেনশন যেন মুহূর্তে গায়েব হয়ে যায়। আর তা হবে নাই বা কেন এটাই তো বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ পুজো। আর এক মাসও বাকি নেই। হুড়মুড়িয়ে চলে এল পুজো। প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, ভিড় টানার প্রতিযোগিতায় নামার সময় চলে এসেছে পুজো উদ্যোক্তাদের। তার সঙ্গে ঠাকুর দেখার লাইনে পোশাকের জেল্লায় বাজিমাত করারও আলাদা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে শপিংয়ের বাজারে। গড়িয়াহাট-হাতিবাগান ও নিউ মার্কেট এলাকায় পা ফেলার জো নেই। এর মধ্যেই নিজেদের পুজো কালেকশন লঞ্চ করল ম্যাক্স ফ্যাশন। সম্প্রতি সল্টলেকের সিটি সেন্টার ১-এ তারই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের দুই তারকা অর্জুন চক্রবর্তী এবং ইশা সাহা।
ম্যাক্সের 'দেবী বরণ' অনুষ্ঠানে আরও বেশ কয়েকজন 'বিশেষ অতিথি' উপস্থিত ছিল। এই বিশেষ অতিথিরা সচরাচর এমন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয় না। মূলত তাদের উপস্থিতিতেই স্টোরের মধ্যে পুজোর জেল্লা। এ জন্য সাধুবাদ দিতে হয় প্রয়াস সংস্থা এবং ম্যাক্স কর্তৃপক্ষকে। কথা হচ্ছে বিশেষ ভাবে সক্ষম বেশ কিছু কচিকাঁচাদের। তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী পছন্দের উপহারও তুলে দেওয়া হয় উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু বিশেষ মহিলাদেরও সম্মানিত করা হয়।
ম্যাক্স ফ্যাশনের আঞ্চলিক অধিকর্তা রাজীব মুখপোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের এই ক্যাম্পেনের নাম এবার ম্যাক্স দেবী বরণ। একই ছাদের নীচে এথনিক, ওয়েস্টার্ন, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাকের এমন সম্ভার এত কম দামে আর কোথাও মিলবে না। আসলে কলকাতায় আমাদের প্রতিযোগিতা কোনও ব্র্যান্ডের সঙ্গে নয়। এই ম্যাক্স দেবী বরণের মাধ্যমে আমরা বাংলা কিছু শক্তিশালী মহিলাদের সম্মানিত করেছি।' অন্যদিকে ইশা সাহা ও অর্জুন চক্রবর্তী জানান যে তাঁরা ম্যাক্সের অংশ হতে পেরে খুবই খুশি এবং তাঁরা এখানে এসে পুজোর আমেজ পাচ্ছেন। এদিন ইশার পরনে ছিল ফ্যাশনেবল জাম্পস্যুট ও অর্জুন পরেছিলেন নীল ও সাদা রঙের স্ট্রাইপ শার্ট। এ বার পুজোর ব্র্যান্ডের মুখ এঁরা দু'জনই। তবে পুজোতে সেরকম কোনও প্ল্যান নেই এই দুই তারকার। কারণ পুজো জুড়ে থাকবে তাঁদের নতুন সিনেমা 'কর্ণসুর্বণের গুপ্তধন'-এর প্রচার। কারণ পুজোর আগেই মুক্তি পাচ্ছে এই সিনেমা। ৩০ সেপ্টেম্বর এই সিনেমা মুক্তি পাবে।