দেশজুড়ে বাধ্যমূলক ফাস্ট্যাগ! কিন্তু কীভাবে কাজ করে এই নয়া পদ্ধতি, কত দাম স্টিকারের? জানুন বিশদে
দেশজুড়ে বাধ্যমূলক ফাস্ট্যাগ! কিন্তু কীভাবে কাজ করে এই নয়া পদ্ধতি, কত দাম স্টিকারের? জানুন বিশদে
সোমবার থেকেই দেশের সমস্ত জাতীয় সড়কে বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে ফাস্ট্যাগ পদ্ধতি। এখন থেকে গাড়িতে ফাস্ট্যাগ স্টিকার না থাকলে দ্বিগুণ টাকা জরিমানা দিয়ে পার করতে হবে টোল প্লাজা। এদিকে এখনও রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রাক, ৯০ শতাংশ বাসেই লাগানো হয়নি ফাস্ট্যাগ। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।
সোমবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে নয়া নিয়ম
এদিকে রবিবারই পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়কের প্রতিটা টোল প্লাজাতেই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। এদিকে গাড়ি চালক থেকে শুরু করে মালিক অনেকেই এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে সর্বতোভাবে অবগত নন বলেই জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যেক গাড়িকে পৃথক বারকোড দিয়ে চিহ্নিত করা হয় এই ফ্যাসট্যাগ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে।
কী এই ফাস্ট্যাগ ?
আরও সহজ করে বললে এই পদ্ধতিতেই সমস্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও একযোগে যুক্ত থাকে এক ছাতার তলায় ওই ফাস্ট্যাগ কোডের মধ্যেই। এর ফলে টোল প্লাজার লেনের মধ্যে দিয়ে গাড়ি গেলে কোনও গাড়ির টোল ফি স্বয়ংক্রিয় ভাবেই কেটে নেওয়ার সুবিধা থাকে। সহজ পরিভাষায় এটি আদপে অটোমেটিক একটি পদ্ধতি। দ্রুত টোল ফি কাটতে ও যানজট এড়াতেই দীর্ঘদিন থেকেই ধাপে ধাপে সমস্ত গাড়িকে ফাসট্যাগের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছিল কেন্দ্র। অবশেষে রবিবারই এল চূড়ান্ত নির্দেশিকা।
কী ভাবে কাজ করে ফাস্ট্যাগ পদ্ধতি ?
এই ফ্যাসট্যাগ মূলত রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন পদ্ধতির মধ্যমে কাজ করে থাকে। টোল প্লাজার মধ্য দিয়ে কোনও গাড়ি যাওয়ার সময় সেই ট্যাগ স্ক্যান হলেই পাসিং গেট খুলে যাবে। এমনকী প্রত্যেক টোল প্লাজাতেই ফাস্ট্যাগ নিবন্ধিত গাড়ির জন্য আলাদা লেন রয়েছে। এই লেনে ধরে গেলেই ফাসট্যাদ আপনা থেকেই ডিটেক্ট হয়ে যায়। চালক বা মালিকের অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্টও হয়ে যায়।
ফাস্ট্যাগ লাগানোর ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে সরকার
এদিকে এই পদ্ধতির ফলে একদিকে যেমন সময় নষ্ট করে গাড়ি থামানোর প্রয়োজন হয় না, তেমনই ক্যাশ লেনদেনে ঝঞ্ঝাট থেকেও মেলে মুক্তি। এমনকী ন্যাশনাল হাইওয়েজ ফি রুল ২০০৮-এও এর বিশেষ উল্লেখ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে গাড়িতে ফাস্ট্যাগ লাগানোর ক্ষেত্রেও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সরকার। আসুন এবার সেগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।
কী ভাবে কিনবেন ফাস্ট্যাগ ?
প্রাথমিক ভাবে কেউ যদি নিজের গাড়ির জন্য ফ্যাসট্যাগ স্টিকার কিনতে চান সেই ক্ষেত্রে তাকে টোল প্লাজা থেকে নির্দিষ্ট স্কিমের স্টিকার কিনতে হবে। এমনকী তা অনলাইনে কেনারও সুবিধা রয়েছে। এমনকী বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ব্যঙ্কের তরফেও এই ধরণের বিভিন্ন স্কিম প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকের সচিত্র পরিচয়পত্র, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
কেমন হতে পারে দাম ?
এদিকে ফাস ট্যাগের দামের ক্ষেত্রেও রয়েছে একাধিক ভিন্নতা। তবে এর দাম নির্ভর করে মূলত দুটি বিষয়ের উপর। ব্যক্তিগত গাড়ি নাকি বাণিজ্যিক গাড়ি তার উপরেও নির্ভর করে দাম। এমনকী কোন ধরনের গাড়ি অর্থাৎ জিপ, ভ্যান, বাস, ট্রাক, নাকি অন্য কোনও ধরণের যানবাহন তা দেখতে হয় এই ক্ষেত্রে। চার চাকার গাড়ির জন্য কেনা যায় মাত্র ৫০০ টাকায়। তবে সেই ক্ষেত্রে ট্যাগ ইস্যু ফি হিসেবে দিতে হয় ৯৯.১২ টাকা। গাড়ির ভিন্নতা অনুযায়ী রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের স্টিকার দামের প্রকারভেদ।
বিকাশের নামে জনতাকে লুটছে সরকার, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রকে বেনজির আক্রমণে রাহুল