For Daily Alerts
Budget 2017 গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি জেনে নিন একনজরে
পেশ হল এবছরের সাধারণ বাজেট। ২০১৭-১৮ সালের এই বাজেটের মধ্যেই রেল বাজেট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইটস জেনে নিন একনজরে।
পেশ হল এবছরের সাধারণ বাজেট। ২০১৭-১৮ সালের এই বাজেটের মধ্যেই রেল বাজেট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিন বাজেট পেশের সময়ে ডিজিটাল লেনদেনের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আয়করের সীমা না বাড়িয়ে তাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। কৃষক, গরিব, পিছিয়ে পড়া তপশিলি জাতি উপজাতি ও অন্যান্য অংশের উপরেই এবারের বাজেটে ফোকাস করেছে কেন্দ্র সরকার। যা আগে এতটা হারে করা হয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে।[কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৭ : রেলের সুরক্ষাই প্রাধান্য পাবে রেল বাজেটে]
এর পাশাপাশি যুব সমাজকে নানাভাবে ট্রেনিং দিয়ে শিক্ষিত করে কর্মপোযোগী করে তোলার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের। এজন্য আইটিআই, ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইটস জেনে নিন একনজরে।[Budget 2017 : সমস্ত খবর একঝলকে জেনে নিন এখান থেকে]
Budget 2017 হাইলাইলস একনজরে
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদ বাড়ানোর ফলে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করবে। তেলের দাম বাড়ছে তবে মনে করছি তেল কোম্পানিগুলি এর থেকে বেরনোর পথ বের করবে।[ভারতের সাধারণ বাজেটের ইতিহাস জানেন কি? চোখ বুলিয়ে নিন একঝলকে ]
- ভারত সারা বিশ্বে ৬ নম্বরে রয়েছে উৎপাদনের বিচারে। আর তা সম্ভব হয়েছে ভালো সংষ্কারের ফলে।
- কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি কমে জিডিপির ০.৩ শতাংশ নেমে এসেছে। মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ থেকে কমে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
- নোট বাতিলের মতো সাহসী পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে। ফলে দুর্নীতির মতো বা সমান্তরাল অর্থনীতির বিরুদ্ধে, জাল টাকার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসবাদীদের টাকা যোগানের মতো ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা সুফল পাব। আর এসবই হয়েছে আমজনতার কথা ভেবে।[রেল নিয়ে কী রইল সাধারণ বাজেটে?]
- নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে চলেছি। আমাদের সার্বিক লক্ষ্য হল গ্রামে আরও বেশই বিনিযোগ করা ও দারিদ্র দূরীকরণ। পুরোটাই হবে গরিব পিছিয়ে পড়া অংশকে তুলে আনার জন্য।
- কৃষকদের আয় সামনের পাঁচ বছরে দ্বিগুণ করা হবে। স্বাস্থ্য ও বিমার সুবিধা আনা হবে। সমস্তটাই করা হবে দরিদ্রদের কথা ভেবে। কৃষকরা এবছরে দারুণ কাজ করেছে। এবছর চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে। কৃষকরা যাতে আরও বেশি ফসল ফলাতে পারেন তার জন্য তাদের সবরকম সাহায্য কারা হবে। ২০১৭-১৮ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকা কৃষকদের ঋণ দেবে কেন্দ্র সরকার।[Budget 2017 গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি জেনে নিন একনজরে]
- ফসল বিমা যোজনা চালু করা হচ্ছে। এর ফলে ৩০-৪০ শতাংশ জমিকে কভারেজ এরিয়ার মধ্যে আনবে। ৯ হাজার কোটি টাকা এর জন্য বরাদ্দ করা হল। কৃষকেরা যাতে ফসলের জন্য বেশি টাকা পায় তা দেখবে সরকার। এছাড়া ডিজিটাল ব্যবস্থাকেও কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
- ৩ হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ এলাকায় খরচ করা হবে। ১ কোটি বাড়ি তৈরি করা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে এটা করা হবে। গ্রামীণ এলাকায় বেশি নজর দেওয়া হবে। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে এমনটা করবে কেন্দ্র।[বাজেট ২০১৭ : তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর দিতে হবে না]
- মনরেগায় মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এবছর মনরেগায় বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আগের বার তা ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছিল। ২০১৯ সালের মধ্যে ১ কোটি নতুন বাড়ি তৈরি করা হবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা অনুযায়ী তাই তার বরাদ্দ বেড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
- যুব সমাজের জন্য নানা পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। স্থানীয় এলাকায় বিজ্ঞানের নানা কাজকে উৎসাহ দেওয়া হবে। নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেওয়া হবে। ভোকেশনাল ট্রেনিং, আইটিআইয়ের ক্ষেত্রে সংস্থায় নিয়ে গিয়ে সরাসরি ট্রেনিং দেওয়া হবে যাতে শেখার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হয়।[বাজেট অধিবেশনের শুরুতে ভাষণে যা বললেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ]
- দেশের মহিলাদের জন্য নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। স্নাতকোত্তরে ৫ হাজার মেডিক্যাল আসন বাড়ানো হচ্ছে।[Demonetisation নিয়ে কী মতামত জানাল ইকোনমিক সার্ভে রিপোর্ট? ]
- ২০১৭-১৮ রেলের বরাদ্দ ১ লক্ষ ৩১ কোটি টাকা হল। এর মধ্যে ৫১ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার দেবে। যাত্রীসুরক্ষা, স্বচ্ছ্বতা বিশেষ নজর দেওয়া হবে। লোকহীন লেভেল ক্রসিং ২০১৯ সালের মধ্যে তুলে দেওয়া হবে। পর্যটনের জন্য আলাদা করে রেল পরিষেবা চালানো হবে। ৫০০টি স্টেশনে লিফট ও এসকেলেটর থাকবে। সোলার পাওয়ার দেওয়া হবে অনেক স্টেশনে। ২০১৯ সালের মধ্যে কোচের টায়ার বায়ো টায়ারের করে দেওয়া হবে।
- টিয়ার ২ শহরে পিপিপি মডেলে বিমানবন্দরগুলির সংস্কার করা হবে।
- টেলিকম সেক্টর আমাদের দেশের অন্যতম বড় সংস্থা। ডিজিটাল পরিষেবা কম দামে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। গ্রামীণ এলাকায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সোলার পাওয়ারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ হাজার ওয়াট উৎপাদন করা হবে।[Demonetisation এর কী প্রভাব পড়বে Budget 2017 এর উপরে?]
- পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩৯৬১৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা সর্বকালীন রেকর্ড। এফডিআই নীতি নিয়ে সরকার দৃঢ়তা দেখিয়েছে। অটোমেটিক রুটে অনলাইন প্রক্রিয়ায় এফডিআই বিনিয়োগ আসছে ভারতে। আগামিদিনে এতে আরও কিছু বদল আনবে সরকার।
- প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা অনুযায়ী পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য করা হবে। এর জন্য বাজেটে ২.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। দলিত, গরিব, সংখ্যালঘুদের প্রধান্য দেওয়া হবে।
- ডিজিটাল ইকোনমিকে ব্যবস্থায় আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ডিজিটাল ইকোনমির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ক্যাশলেস লেনদেন বেড়েছে। ১ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে ভীম অ্যাপস ব্যবহার করেছে। আধার পেমেন্ট সিস্টেম খুব শীঘ্রই সামনে আনা হবে। যাদের ডেবিট কার্ড, মোবাইল কোনওটাই নেই তারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে ২০১৭-১৮ তে ডিজিটাল লেনদেন কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ডিজিটাল পেমেন্টের দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। আমরা ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের দিকে সরকারের নজর রয়েছে। জিএসটি বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে আগামিদিনে।
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি দেশের সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। অথচ এদেরই সবচেয়ে বেশি কর দিতে হয়। ফলে বড় কোম্পানির সঙ্গে তারা পেরে ওঠে না। তাই এই বাজেটে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভার রয়েছে এমন কোম্পানির আয়কর কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হল।
- তিন লক্ষ টাকার বেশি নগদে লেনদেন করা যাবে না। আইনি সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান নিয়ে এতবছরেও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কোনও সরকার। গ্রাহক ও গ্রহীতার অ্যাকাউন্ট আইনি পথ মেনে চললে, আয়কর দিলে তাতে ছাড় পাবে। ২০ হাজারের বেশি অনুদানে দাতাকে তাঁর পরিচয় জানাতে হবে। একটি উৎস থেকে ২ হাজারের বেশি টাকা নেওয়া যাবে না।
- বর্তমানে যারা আয়কর দেন না তাদের জন্য যারা নিয়ম মেনে আয়কর দেন তাদের উপরে বেশি চাপ পড়ে। ফলে সকলকে যাতে কর ব্যবস্থার মধ্যে আনা যায় তাই ২.৫-৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। আগে যা ছিল ১০ শতাংশ। এর ফলে যে সমস্ত মানুষ বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেন তাদের আয়ে ৫০ শতাংশ সেভিংস করার সুযোগ পাবেন।
- যাদের বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ থেকে ৩.৫ লক্ষ টাকা তাদের ২৫০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। যাদের বার্ষিক আয় ৪.৫ লক্ষ টাকা তাঁরা ৮০সি ধারা মেনে বিনিয়োগ করলে আয়কর দিতে হবে না। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাদের আয় তাদের কোনও আয়কর দিতে হবে না। ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত যাদের আয় তাদের ১০ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে।
Comments
English summary
Budget 2017 presented by FM Arun Jaitley : Highlights at a glance