Demonetisation এর কী প্রভাব পড়বে Budget 2017 এর উপরে?
সারা দেশ গভীর প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। সাধারণ বাজেটে কেমন ঘোষণ হয় তার দিকে। তবে তার প্রায় মাস তিনেক আগে ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক ঘোষণায় দেশের মোট নগদের ৮৬ শতাংশ যা ছিল ৫০০ ও ১ হাজারের নোট তা বাতিল করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সরকারের দাবি ছিল নোট বাতিলের ঘটনা দুর্নীতি, কালো টাকা, জঙ্গিদের হাতে টাকা পৌঁছনো, জাল নোটর কারবারের মতো বিষয়কে এক ঝটকায় কমিয়ে আনবে। এর পাশাপাশি দেশের একটা বড় অংশকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসবে। তবে নোট বাতিলের মতো ঘটনা এবারের সাধারণ বাজেটে কী প্রভাব ফেলবে তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।

আয়কর থেকে অতিরিক্ত আয়
নোট বাতিলের ঘটনার ফলে যে পরিমাণ টাকা অর্থব্যবস্থার বাইরে ছিল তা ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে মূল স্রোতে ফিরে এসেছে। অনেকের লুকনো গচ্ছিত ধন বের করতে হয়েছে। কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছ্বতা আসবে। সরকারের কর থেকে আয় বাড়বে। এর পাশাপাশি জিএসটি থেকেও সরকারের আয়ের মাধ্যমেও কিছুবছরের মধ্যে কেন্দ্র লাভবান হতে চলেছে।

আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তন
নোট বাতিলের ফলে সাধারণ মানুষের যে হয়রানি হতে চলেছে তা আয়করের স্ল্যাবকে বেশ কিছুটা বাড়িয়ে পূর্ণ করতে পারে কেন্দ্র সরকার। এখন আয়করের সীমা রয়েছে ২.৫ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে খুব কম হলে তিন লক্ষ করতে পারে সরকার। এছাড়া ৮০সি ধারায় ছাড় দেড় লক্ষ থেকে বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে স্বস্তি দিয়ে করের সীমা ৩০ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশ নেমে আসতে পারে।

পরিকাঠামোগত বৃদ্ধি
নোটের অপ্রতুলতা ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলিকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে। এর পাশাপাশি রিয়েল এস্টেটের মতো নগদনির্ভর ক্ষেত্রগুলিতেও এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলে পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ এবছর বাড়তে পারে। এছাড়া বাণিজ্য ক্ষেত্রে সুদের হার কমতে পারে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত্রগুলি কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়লে কেনাকাট সহ নানা ক্ষেত্রে আমজনতার খরচের হাত ফের খুলে যেতে পারে যা নোট বাতিলের ঘটনার পরে প্রায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল।

ডিজিটাল লেনদেনে গুরুত্ব
নোট বাতিলের ঘটনার ফলে নগদহীন অর্থনীতির গুরুত্ব অনেকটা বেড়েছে। সরকার চাইছে সাধারণ মানুষ আরও বেশি করে নগদহীন অর্থনীতে আপন করে নিক। এজন্য ডিজিটাল পেমেন্টে নানা ছাড়ের কথাও ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এবারের বাজেটে ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে আরও কয়েকদফা ছাড়ের কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।