টাকা জমাবেন বলে এত বড় ভুল করছেন না তো? এই পাঁচ কাজ থেকে সাবধান
আর্থিক শৃঙ্খলা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদের বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন শুধুমাত্র সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই ঘটতে পারে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হল যে প
আর্থিক শৃঙ্খলা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদের বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন শুধুমাত্র সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই ঘটতে পারে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হল যে প্রায় প্রত্যেক ভারতীয় আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেয় না। এবং কিছু বড় ভুল করে।
তবে সমস্ত মূলধন এক জায়গায় বিনিয়োগ করা বেশিরভাগ ভারতীয়দের অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি। এমনই কিছু ভুল ভারতীয়রা করে যার ফল অনেক দূর পর্যন্ত যায়।
পরিবারের উপরেও ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে
লাইভ মিন্ট ডট কমের এক প্রতিবেদন অনুসারে, আর্থিক বিষয়গুলি পরিচালনা করার সময় করা ভুলগুলি গভীর প্রভাব ফেলে জীবনে। শুধু ব্যক্তিগত জীবনের উপর নয়, পরিবারের উপরেও ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে এর। ফলে ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানিং এবং ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজম্যান্ট খুবই চিন্তা নিয়ে করা উচিৎ। যদি আপনার এই বিষয়ে বিশেষ কোনও জ্ঞান না থাকে তাহলে অবশ্যই কোনও আর্থিক বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচ ভুলের বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হবে যা প্রত্যেক ভারতীয়ই কার্যত আর্থিক বিষয়গুলি পরিচালনা করার সময়।
টাকার প্রতি প্রেম
বেশিরভাগ ভারতীয় তাঁর সঞ্চয় নগদ আকারে তাঁর কাছে রেখে দেয়। নোটবন্দির সময় কার্যত প্রত্যেক ভারতীয়ের বাড়ি থেকেই যেভাবে নোট পাওয়া যায়, তাতে স্পষ্ট নগদ কতটা ভালোবাসে । কিন্তু নদ এভাবে বাড়ির আলমারি কিংবা সিন্দুকে রাখাটা কখনই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে ক্ষতিই হচ্ছে আদৌতে। কারণ এভাবে নগদ রাখার ফলে কোনও রিটার্ন পাওয়া যায় না। ফলে আপনার সঞ্জয়কে বাক্স বক্সি করে না রেখে কোনও ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এমন একটা ফান্ডে আপনার সঞ্জয় বিনিয়োগ করুন জেখানে মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাবেন।
ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানিংয়ের বিষয়ে আমরা ভাবি না
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানিং করেন না। এ ছাড়া তারা তাদের আর্থিক লক্ষ্যও নির্ধারণ করে না। এমনকি অধিকাংশ মানুষ ভবিষ্যতে তাদের আয়-ব্যয়ের অঙ্ক কী হবে এবং কীভাবে হবে তা জানার চেষ্টাও করেন না। কোন কাজের জন্যে কত ফান্ডের প্রয়োজন হয়ে থাকে সে বিষয়েও ভাবনা চিন্তা কেউ করেন না। ফলে একটা সময়ে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়। এমনকি কোনও জরুরি অবস্থা যদি তৈরি হয় তখন বিপদের মধ্যে পড়ে যেতে হয়। ফলে একটা সময়ের পর ফাইন্সিয়াল প্ল্যানিংয়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বিনিয়োগ তো বয়স্ককালের জন্যে-
বিনিয়োগে'র ক্ষেত্রে অধিকাংশ ভারতীয়ই একেবারেই late-latif হয়ে থাকে! একটি সাধারণ বিশ্বাস আছে যে শুধুমাত্র যারা বিবাহিত এবং পরিবার আছে তাদের বন্ড এবং তহবিলে বিনিয়োগ করা উচিত। আর সেই ধারনা থেকেই যুব সম্প্রদায় তাঁদের সমস্ত আয় মজা করে, খেয়ে দে উড়িয়ে দেয়। আর এটাই সবথেকে বড় ভুল। উদাহারণ হিসাবে বলা প্রয়োজন, যদি কোনও যুবক ২৫ সাল বয়সে মাসে ১০০ টাকা মিউচুয়্যাল ফান্ডে বিনিয়োগ করে তাহলে সেই যুবক যখন অবসর নেবে কাজ থেকে তাঁর কাছে থাকবে মোটা অঙ্কের ফান্ড। এর মাধ্যমে আপনি অল্প বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করলে কতটা লাভ হবে তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
সব টাকা এক জায়গাতে বিনিয়োগ-
বিনিয়োগ নিয়েও বেশিরভাগ ভারতীয়ই একটি বড়সড় ভুল করে থাকেন। গোটা টাকায় একটা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করাটাও বড় ভুল। যেমন গোটা ফান্ড দিয়ে জমি কিংবা সোনা কেনাটাও বড় ভুল। এতে ধণ-সম্পত্তির বৃদ্ধি আটকে যায়। শুধু তাই নয়, মন্দা হলে আপনার টাকা এক জায়গায় আটকে যায়। ফলে গোটা টাকা এক জায়গাতে বিনিয়োগের বড় ভুল যেন না করেন। অবশ্যই আপনার রোজগারের টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও একাধিক রিটার্ন অফার করে।
বীমা অর্থের অপচয়
বেশিরভাগ ভারতীয় বীমাকে অর্থের অপচয় বলে মনে করেন। বাস্তবে মোটেই তা নয়। জীবন বীমা এবং স্বাস্থ্য বীমাতে বিনিয়োগ শুধুমাত্র আপনাকে আর্থিক নিরাপত্তা দেয় না, এটি মানসিক শান্তিও প্রদান করে। যদি আপনার উপার্জন থেকে আপনার পরিবার চলে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই বীমা পেতে হবে। কারণ আপনি যদি দুর্ঘটনাক্রমে পৃথিবীতে না থাকেন, তবে আপনার বিমা করা হলে আপনার পরিবার একটি ভাল পরিমাণ পায়, যাতে তারা আরামে জীবনযাপন করতে পারে।