ব্যক্তির নাকের গঠন বলে দেবে তাঁর স্বভাব কেমন, জেনে নিতে পারেন আপনার ব্যক্তিত্বও
ব্যক্তির নাকের গঠন বলে দেবে তাঁর স্বভাব কেমন
সামুদ্রিক শাস্ত্রে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের গঠন অনুযায়ী ব্যক্তির স্বভাব–ব্যবহার ও ভবিষ্যতের বিষয়ে বলা হয়েছে। এটির সাহায্যে, যে কোনও ব্যক্তি নিজের এবং এমনকি অন্যদের সম্পর্কে অনেক গোপন কথা জানতে পারে। আজ আমরা সামুদ্রিক শাস্ত্রে বর্ণিত পদ্ধতির মাধ্যমে নাকের বিভিন্ন গঠনের ভিত্তিতে ব্যক্তির প্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ জানব।
যেহেতু সমুদ্র শাস্ত্র ঋষি সমুদ্র দ্বারা রচিত হয়েছিল, তাই একে সমুদ্র শাস্ত্র বলা হয়।
ছোট নাকের ব্যক্তি
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে, এই ধরনের মানুষ যাদের নাক খুব ছোট, তারা দুষ্টু প্রকৃতির হয়। তারা চিন্তামুক্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ জীবনযাপন করে। কিন্তু তাদের দূরদৃষ্টি সমাজে তাদের আলাদা পরিচয় দেয়। লোকেরা সাধারণত তাদের খুব চালাক বলে মনে করে।
লম্বা নাকের ব্যক্তি
লম্বা নাকযুক্ত মানুষ দৃঢ় নিশ্চয় প্রকৃতির হয়। তারা খুব কম আবেগপ্রবণ এবং সম্পর্ক বজায় রাখতে খুব একটা আগ্রহ নেয় না। সাধারণত তারা ধার্মিক কিন্তু একই সঙ্গে তারা দামি জিনিস ব্যবহার করতেও পছন্দ করে।
পাতলা নাকের ব্যক্তি
যাদের নাক খুব পাতলা, তারা খুব রেগে যায়। এছাড়াও, এই লোকেরা একটু সাফল্য পেলেই পুরনোদের ভুলে যায়। কিন্তু সাফল্যের ভূত তাদের ওপর চড়লে তা কিছু সময়ের মধ্যে নেমেও যায়। এই মানুষগুলো খুব ফ্যাশনেবল হয়।
মোটা নাকের ব্যক্তি
অথচ মোটা নাকের মানুষরা সব সময়ই খুশি থাকে। সেই সঙ্গে অন্যকেও খুশি রাখার চেষ্টা করে। অন্যরা কি বলবে তা নিয়ে তারা খুব একটা পাত্তা দেয় না, কিন্তু তারাই প্রতিটি অনুষ্ঠানের প্রাণ হয়ে থাকে।
চাপা নাকের ব্যক্তি
যাদের নাক চাপা, তারা খুব আবেগপ্রবণ হয়। তারা অন্যের কষ্ট দেখতে পারে না। সাধারণত এই মানুষদের অনেক টাকা থাকে না। এই মানুষদের পুজো-পাঠে অগাধ বিশ্বাস।
উঁচু নাকের ব্যক্তি
উঁচু নাকযুক্ত লোকেরা চটপটে এবং সবকিছুতে এগিয়ে থাকে। এই লোকেরা অন্যদের দ্রুত বিশ্বাস করে না। তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণ রয়েছে।
তোতাপাখির মতো নাক
তোতাপাখির মতো নাকযুক্ত ব্যক্তিরা খুব তীক্ষ্ণ প্রকৃতির হয় তবে মনের দিক থেকে খুব পরিস্কার হন। তারা সাফল্য পেতে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার পরই হাল ছাড়েন। এই লোকেরা সমাজের চিন্তা করেন না, তবে তারা যা চান তাই করেন। এই লোকেরা বিদ্রোহী হওয়া থেকেও পিছুপা হন না।