(ছবি) ভারতের এই দশটি অদ্ভুত মন্দির সম্পর্কে আপনি জানেন না
ভারতবর্ষে ধর্ম নিয়ে মাতামাতি হয় একথা কারও অজানা নয়। দেশের যে প্রান্তেই যান, দেখতে পাবেন দেবতা ও মন্দিরে ছড়াছড়ি। কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন তা ঠিক করতে গিয়েও মূর্চ্ছা যেতে পারেন কারণ পুরাণ মতে আমাদের দেবদেবীর সংখ্যা ৩৩ কোটি। [ভারতের সেরা প্রাসাদগুলির রাজকীয় রূপ একঝলকে]
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এক একজন দেবতা পূজিত হয়ে থাকেন। আমাদের এখানে দেবী দুর্গা, কালী ইত্যাদির পূজা বেশি হয়। দক্ষিণে তিরুপতি সবচেয়ে বেশি পূজিত হন। পশ্চিমাংশে আবার গণপতির পূজা সবচেয়ে বড় করে পালন করা হয়। [ভারতের যে স্মৃতিসৌধগুলি জীবনে একবার দেখতেই হবে]
তবে জানেন কি, এই ৩৩ কোটি বাদেও আরও অনেক কিছু পূজিত হয় এই আজব দেশ ভারতবর্ষে? নিচের স্লাইডে জেনে নিন এমন কয়েকটি মন্দির ও দেবদেবী সম্পর্কে যা দেখে চোখ কপালে উঠতে পারে আপনার। [ইতিহাসের জীবন্ত দলিল পশ্চিমবঙ্গের এই স্থাপত্যগুলি]
চাইনিজ কালী মন্দির
ট্যাংরায় অবস্থিত এই মন্দিরটিতে পূজা দেন চায়না টাউনের বাসিন্দা চিনারাই। কয়েকপুরুষ ধরে কলকাতায় বাস এদের। এখানে প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় ন্যুডলস।
হনুমান মন্দির
জয়পুরের এই মন্দিরটির আসল নাম গলতাজি মন্দির। তবে এখানে প্রচুর হনুমানের বাস হওয়ায় এটির নাম হয়ে গিয়েছে হনুমান মন্দির।
ভারত মাতা মন্দির
ভারতবর্ষকে মাতৃরূপে পূজা করার কথা অনেকেই বলেন। তবে তা আক্ষরিকভাবে করা হয় বারাণসী ও হরিদ্বারের দুটি মন্দিরে। এখানে ভারতমাতা নামে একটি মানচিত্র মেঝেতে তৈরি করে তাতে পূজা করা হয়।
কালী ভৈরব মন্দির
উজ্জ্বয়িনীতে অবস্থিত এই মন্দিরতে শিব ঠাকুরকে প্রসাদ হিসাবে সুরা দেওয়া হয়। সরকারের তরফে মন্দিরের পাশেই মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কিনে মন্দিরে ভোগ দেন ভক্তরা।
সনিয়া গান্ধী মন্দির
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর নামে মন্দির রয়েছে তেলেঙ্গানায়। কারণ তিনি এই রাজ্য তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেন। মন্দিরের ভিতরে সনিয়ার একটি মূর্তি ছাড়াও ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী ও নেহেরু পরিবারের অনেকের ছবি থরে থরে সাজানো রয়েছে।
দুর্যোধন মন্দির
মহাভারতের অন্যতম চরিত্র দুর্যোধনের নামে মন্দির রয়েছে কেরলে। বলা হয়, পাণ্ডবদের খুঁজতে দুর্যোধন এখানে আসেন এবং রাজার আতিথেয়তায় খুশি হয়ে ১০০ একর জমি দান করেন।
সবচেয়ে আশ্চর্যের, এখনও সেখানকার ওই জমির লেভি দুর্যোধনের নামেই দেওয়া হয়ে থাকে।
কারনি মাতা মন্দির
এই বিকানের রাজস্থানের এই মন্দিরটি ইঁদুরের মন্দির নামে খ্যাত। এখানে ইঁদুরদের না মেরে খেতে দেওয়া দেওয়া হয়। মন্দিরের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার ইঁদুরের বাস বলে জানা যায়।
হিড়িম্বা দেবী মন্দির
হিড়িম্বা রাক্ষসীর কথা আমরা সবাই পড়েছি। তার নামে মন্দির রয়েছে মানালিতে। এখানকার গুহায় বসে সে রাক্ষসী থেকে দেবী হওয়ার সাধনা করে বলে শোনা যায়।
ব্রহ্মা মন্দির
ব্রহ্মা দেবতার মন্দির খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায় না। মানুষের সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মের এই মন্দিরটি রয়েছে রাজস্থানের পুষ্করে। মন্দির ২ হাজার বছরের পুরনো বলে জানা যায়।
বুলেট বন্না মন্দির
যোধপুরের পালিতে এই মন্দিরটি অবস্থিত। এটি আসলে একটি রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট। সেটাকেই পূজা করা হয় এখানে।
ঘটনা হল, ১৯৮৮ সালে ওম সিং রাঠৌর নামে এক ব্যক্তি এই গাড়িটি নিয়ে চালানোর সময়ে দুর্ঘটনা ঘটান ও মারা যান। এরপরে পুলিশ এসে বাইকটি নিয়ে যায়।
পরের দিন সকালে দেখা যায়, পুলিশ স্টেশনে বাইকটি নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দুর্ঘটনা স্থলেই পড়ে রয়েছে বাইকটি। পরে বাইকটি তালা দিয়ে, পেট্রোল বের করেও কোনও লাভ হয়নি। সেই দুর্ঘটনা স্থলেই চলে যেত বাইকটি।