ব্ল্যাকহোল থেকে শোনা যাচ্ছে আলোর ‘প্রতিধ্বনি’! নাসার নতুন ভিডিওতে মহাজাগতিক বিস্ময়
ব্ল্যাকহোল থেকে শোনা যাচ্ছে আলোর ‘প্রতিধ্বনি’! নাসার নতুন ভিডিওতে মহাজাগতিক বিস্ময়
ব্ল্যাকহোল থেকে আসছে আলোর প্রতিফলন। নাসার এমনই এক নতুন ভিডিও সামনে এনেছে, যা নিয়ে অপার বিস্ময় তৈরি হয়েছে। নাসার মতে ভিডিওতে থাকা ব্ল্যাক হোলটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৭৮০০ আলোকবর্ষ দূরে এবং এর ভর সূর্যের থেকে পাঁচ থেকে ১০ গুণ। এবং এই ব্ল্যাক হোলের ভিডিও এক মহাজাগতিক দৃশ্যের অবতারণা করেছে।
নাসা সর্বদা মহাকাশ অনুসন্ধানে নানা বিস্ময়কর দৃশ্যের সন্ধান দিয়েছে। মহাকাশপ্রেমীদের কাছে বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে। সম্প্রতি একটি নতুন ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, নাসা ব্ল্যাকহোল থেকে আলোর রেখা দেখতে পেয়েছে। স্টেস এজেন্সি ভিডিওটি শেয়ার করেছে ইনস্টাগ্রামে।
ব্ল্যাকহোল কখনও আলোক বিচ্ছুরণ করতে দেয় না। ব্ল্যাকহোল থেকে কখনও রেডিও বা এক্স-রে কোনও কিছু দৃশ্যমান হয় না। আশপাশের উপাদানগুলি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিচ্ছুরণের ফলে তীব্র বিস্ফোরণ তৈরি করতে পারে। আর তা বাইরের দিকে যাওয়ার সময় আলোর এই বিচ্ছুরণ মেঘগুলিকে উড়িয়ে দিতেও সক্ষম। তা মহাকাশে গ্যাস এবং ধুলো সরিয়ে দেয়, ঠিক যেমন গাড়ির হেডলাইট থেকে আলোর রশ্নি কুয়াশাকে সরিয়ে দেয়।
ভিডিওটিতে দেখা যায় লাল বৃত্তাকার ব্যান্ডগুলি একটি তারার পটভূমি দ্বারা বেষ্টিত। নীল ব্যাণ্ডগুলি ব্ল্যাক হোল সিস্টেমের ভিতরের এবং নীচের অংশগুলিকে হাইলাইট করে। সেনিফিকেশনের সময় কার্সারটি একটি বৃত্তে চিত্রের কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে সরে যায়। যখন এটি এক্স-রে'তে শনাক্ত করা আলোর প্রতিধ্বনির মধ্য দিয়ে সেখানে এক্স-রে শনাক্তকরণ ও উজ্জ্বলতার তারতম্য বোঝানো হয়েছে ওই ছবিতে।
নাসার মতে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাক হোলটি একটি সহচর নক্ষত্র থেকে উপাদান টেনে নিচ্ছে, যা একটি চাকতির মতো আটকে রয়েছে। আর ব্ল্যাক হোলটি ঘিরে রেখেছে একটি নাক্ষত্রিক ভর। গবেষকদের মতে, ভি৪০৪ সিগনি হল একটি সিস্টেম যা, একটি ব্ল্যাক হোল ধারণ করে রাখে। একটি নতুন সোনিফিকেশন ভি৪০৪ সিগনি ব্ল্যাক হোল থেকে আলোর প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ আলোর অস্তিত্ব শব্দে পরিণত হয়ে যায়।
নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজার্ভেটরি এবং নীল গেহরেলস সুইফ্ট অবজার্ভেটরি ভি৪০৪ সিগনির চারপাশে এক্স-রে আলোর প্রতিধ্বনি চিত্রায়িত করেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই চিত্র থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, কখন এই অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। কারণ তারা জানেন যে, আলো কত দ্রুত ভ্রমণ করতে পারে এবং এই সিস্টেমের একটি সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করতে পারে। এই ডেটা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধূলিকণার মেঘের গঠন ও দূরত্ সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতেও পারেন।
ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে পৃথিবী! তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে তিনটি বিশালাকার গ্রহাণু