মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি করছে নাসার মক্সি যন্ত্র! তবে কি দুয়ার খুলে গেল মনুষ্য অভিযানের
মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি করছে নাসার মক্সি যন্ত্র! তবে কি দুয়ার খুলে গেল মনুষ্য অভিযানের
মঙ্গলে গিয়েও অক্সিজেন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে নাসার পাঠানো মক্সি যন্ত্র! তাহলে কি মানুষ এবার পাড়ি দিতে পারবে লালগ্রহে। মঙ্গল অভিযানে যেতে পারবেন মহাকাশচারীরা? সম্প্রতি গবেষকরা তুলে ধরেছেন চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার। সেই আবিষ্কারের উপর ভর করে অনায়াসে মঙ্গলে পাড়ি দিতে পারবেন মানুষ। নাসার মঙ্গল অভিযানও এবার সম্ভবপর হবে।
মক্সি যন্ত্র মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি করছে
মঙ্গলে মক্সি যন্ত্র পাঠিয়ে গবেষকরা আশা করছেন, স্কেল-আপ সংস্করণ একদিন মঙ্গলে মানুষকে টিকিয়ে রাখতে পারে। একটি লাঞ্চ বক্সের আকারের যন্ত্রের সাহায্যে সফলভাবে মঙ্গল গ্রহে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবে মানুষ। নাসার ওই মক্সি যন্ত্র মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি করছে, সেটি কাজ করছে একেবারে একটি ছোট গাছের মতো।
মঙ্গল গ্রহে মানুষের যাওয়ার আগে আবিষ্কার
২০২১-এর ফেব্রুযারি থেকে মঙ্গল গ্রহের অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট বা মক্সি সফলভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন তৈরি করে চলেছেন। গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, মক্সির একটি স্কেল-আপ সংস্করণ মঙ্গল গ্রহে পাঠানো যেতে পারে। মঙ্গল গ্রহে মানুষের যাওয়ার আগে কয়েকশো গাছের হারে অক্সিজেন উৎপাদন করার জরুরি।
বিভিন্ন ঋতুতে অক্সিজেন তৈরি করতে সফল মক্সি
নাসার পারসিভারেন্স রোভার মিশনের অংশ হিসেবে মক্সি মঙ্গলের পৃষ্ঠে নেমেছিল। তারপর একটি সমীক্ষায় গবেষকরা জানান, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ মক্সি সাতটি পরীক্ষামূলক গবেষণায় অক্সিজেন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। দিন ও রাত-সহ বিভিন্ন বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতিতে এবং বিভিন্ন ঋতুতে তা অক্সিজেন তৈরি করতে সফল হয়েছে।
মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন তৈরি
প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ৬ গ্রাম অক্সিজেন উৎপাদন করার লক্ষ্যে পৌঁছেছে মক্সি। এই হার পৃথিবীর একটি সাধারণ গাছের মতো। এই মিশনে আশা করা যায়, সম্পূর্ণ ক্ষমতায় সিস্টেমটি মঙ্গল গ্রহে পৌঁছনোর পর মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন তৈরি করতে পারবে এবং মানুষকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হবে।
মানব মিশনের জন্য অবশ্যম্ভাবী নাসার মক্সি যন্ত্র
ম্যাসুসুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মক্সির তদন্তকারী জেফরি হফম্যান বলেন, এটি আসলে অন্য গ্রহের পৃষ্ঠে সম্পদ ব্যবহার করার এবং রাসায়নিকভাবে রূপান্তর করার প্রদর্শনী। এটা মানব মিশনের জন্য অবশ্যম্ভাবী। ওই যন্ত্রের বর্তমান সংস্করণটি ডিজাইনে ছোট, যাতে পারসিভারেন্স রোভারে ফিট করা যায়। এবং সেটি স্বল্প সময় চালানোর জন্য নির্মিত।
মঙ্গল গ্রহে বছরের যে কোনও সময়ে অক্সিজেন তৈরি
এখন পর্যন্ত মক্সি দেখিয়েছে, মঙ্গল গ্রহে বছরের যে কোনও সময়ে অক্সিজেন তৈরি করতে পারে। মক্সি মিশনের প্রধান তদন্তকারী মাইকেল হেস্ট বলেন, একমাত্র জিনিস যা আমরা প্রদর্শন করিনি, তা হল ভোর বা সন্ধ্যার সময়, যখন তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। সেটি পরীক্ষা করে দেখলেই মিশন সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে।
প্রতীকী ছবি
কোলকাতার ট্রাম, চায়ের দোকান, চায়ের দোকান দেখতে একরকম ট্রাম