রাজনীতির কোপ, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে ব্রাত্য মিঠুন, বিতর্ক উস্কে দিলেন দিলীপ
রাজনীতির কোপ, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে ব্রাত্য মিঠুন, বিতর্ক উস্কে দিলেন দিলীপ
মুম্বই থেকে ডেকে আনা হল অমিতাভ-শাহরুখ-রানিদের। অথচ ঘরের ছেলে মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হল না। রাজনৈতিক কারণেই মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সামিল করা হয়নি। এমনই অভিযোগ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আমন্ত্রণ পেলেন না মিঠুন
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে সেদিকে। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ আলোকিত করার জন্য মুম্বই থেকে ভিড় করলেন তারকারা। কিন্তু ঠাঁই হল না মিঠুন চক্রবর্তীর। এত বড় অভিনেতা হয়েও এবং একাধিক ভাল মানের বাংলা ছবিতে অভিনয় করেও তিনি ব্রাত্য রয়ে গেলেন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কেবল মাত্র রাজনীতির জন্যই মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কারা এলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
গতকাল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন বলিউ়ডের এক ঝাঁক তারকা। অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, রানি মুখার্জিরা। ছিলেন অরিজিৎ সিংও। সেই সঙ্গে টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা তো ছিলেনই। কিন্তু দেখা যায়নি মিঠুন চক্রবর্তীকে। বাংলা থেকে গিয়ে বলিউডে নাম ডাক করেই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে ব্রাত্য রয়ে গিয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই রাজ্যে ছবির শ্যুটিং করে গিয়েছেন তিনি। বলিউডের তারকাদের নিয়ে এলাহি আয়োজন করা হলেও মিঠুন চক্রবর্তীকে ডাকা হল না।
বিজেপিতে মিঠুন
একুশের ভোটের আগে বিেজপিতে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্যে একাধিক বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে চাইছে বিজেপি। সেকারণেই অভিনেতাকে নিয়ে জেলা সফরে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির মুখ মিঠুন
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে কাজে লাগাতে চাইছে গ্রামবাংলায়। সেকারণেই কয়েক সপ্তাহ আগে রাজ্যে এসে একাধিক জেলায় সফর করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি জেলায় জেলায় গিয়ে কর্মীদের বাড়িতে মধ্যহ্নভোজন করেছেন। বৈঠক করেছেন বিজেপির জেলা কর্মীদের সঙ্গে। এমনকী অনুব্রত মণ্ডলের এলাকা বীরভূমেও কর্মিসভা করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। জনসাধারণের সরাসরি যোগাযোগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মিঠুনের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই যে পঞ্চায়েত ভোটে জয় পেতে চাইছেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
'এক দল মত আলাদা হতেই পারে' বিতর্ক জোরাল হতেই শুভেন্দুকে নিয়ে সুর বদল দিলীপের