বাংলায় উপনির্বাচন কবে ঘোষণা করা হবে? উত্তর চাইতে ফের কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল
করোনার সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে বাংলাতে! এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগে উপ-নির্বাচন চেয়ে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদরা। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদরা জানান, কমিশনের কাজে আমরা সন্তুষ্ট।
করোনার সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে বাংলাতে! এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগে উপ-নির্বাচন চেয়ে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদরা। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদরা জানান, কমিশনের কাজে আমরা সন্তুষ্ট। খুব শীঘ্রই বাংলাতে উপনির্বাচনের জন্যে দিন ঘোষণা করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন বলে দাবি করেন সাংসদরা।
কিন্তু সেই সাক্ষাৎ করে আসার পরে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ইভিএম পরীক্ষা সহ ভোটের আগাম প্রস্তুতিও সারা শেষের মুখে। এই অবস্থায় এখনও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়নি। আর তা ঘোষণা না হওয়াতে ফের একবার কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন এখনও বাংলাতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে না সেই বিষয়ে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হবে। আর সেই কারণে আগামিকাল শুক্রবার তাঁরা ফের একবার নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা কমিশনের কাছে দাবি করব যে দ্রুত বাংলার যে পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রে নির্বাচন এখনও হয়নি তা করার জন্যে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল কলকাতায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। জানা যাচ্ছে, এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন বিধায়ক তাপস রায়, সুব্রত বক্সি। জানা যাচ্ছে, দুপুর আড়াইটের সময় কমিশনের অফিস যাবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটপর্বেই তিনটি আসনে উপনির্বাচন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। মুর্শিদাবাদের দুটি আসন সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের দুই প্রার্থীর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। আর খড়দহে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। তিনিই জয়ী হন নির্বাচনে। ফলে এই আসনেও উপনির্বাচন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে থেকে প্রার্থী হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায়। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে, বিজেপির দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েচিলেল। দিনহাটা এবং শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতলেও পরে এই বিধানসভা কেন্দ্র ছেড়ে দেয় দুই সাংসদই। ফলে সেখানেও ভোট হবে।
অন্যদিকে ছয়মাসের মধ্যে ভোটে না জিতলে মুখ্যমন্ত্রী পদ হারাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি নাকি এমনটাই চাইছে। আর সেই কারণে বাংলাতে তাঁরা উপনির্বাচন করাতে চায় না। এমনটাই জল্পনা। আর এই অবস্থায় কমিশনের উপর চাপ বাড়াতে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ বলে দাবি রাজনৈতিকমহলের। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ইভিএম পরীক্ষা সহ সমস্ত কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।