বামেদের সঙ্গে জোটকে 'অসম্মান', প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা
বামেদের সঙ্গে জোটকে 'অসম্মান', প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা
জোট নিয়ে বামেদের বিরল সম্মান দিলেন প্রভাবশালী কংগ্রেস (congress) নেতা। জোটের সভায় ওই নেতা প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা (public apology) করেছেন। কংগ্রেসের ওই নেতার নাম মোহিত সেনগুপ্ত (mohit sengupta)। তিনি এবারেও উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (raiganj) আসন থেকে প্রার্থী হয়েছে।
২০১৯-এর লড়াই নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে রায়গঞ্জে জোট হয়নি কংগ্রেসের। এব্যাপারে রায়গঞ্জের বিধান ভবনে হওয়া জোটের সভায় মোহিত সেনগুপ্ত বলেছেন, তিনি সব সিপিএম এবং বামফ্রন্ট কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইছেন। সেই সময় দুপক্ষের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, ওই নির্বাচনে কংগ্রেস শুধু এই আসনে দীপা দাশমুন্সিকেই প্রার্থী করেনি, মহঃ সেলিমের বিরুদ্ধেও প্রচার করেছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচারের জেরে আসনি বিজেপির হাতে চলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত।
কংগ্রেসের তরফে ভুল
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মোহিত সেনগুপ্ত আরও বলেছেন, এটা কংগ্রেসের তরফেই ভুল হয়েছিল। যেহেতু বিধানসভা নির্বাচ সামনে, সেই কারণে বাম কর্মী-সমর্থকদের কাছে তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চাইছেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসর জোটের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হলেছিলেন মোহিত সেনগুপ্ত।
রায়গঞ্জ থেকে হেরেছিলেন মহঃ সেলিম
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মোহিত সেনগুপ্ত যে ২০১৯-এর কথা উল্লেখ করছেন, সেই লোকসভা নির্বাচনে বামের পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি আসনও পায়নি। রায়গঞ্জ আসন থছেকে লড়াই করে সেখানকার ২০১৪-২০১৯-এর সাংসদ মহঃ সেলিম তৃতীয়স্থানে চলে গিয়েছিলেন। আর কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি চলে গিয়েছিলেন চতুর্থস্থানে। এই আসন থেকে বিজেপির হয়ে জয়লাভ করেছিলে দেবশ্রী চৌধুরী। যিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
খুশি সিপিএম
তবে কংগ্রেসের এই ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় খুশি জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী দাঁড় করানোর জন্য ক্ষমা চাওয়া ২০২১-এর নির্বাচনের আগে দুপক্ষের সম্পর্ককে আরও মসৃণ করবে বলেই মনে করছে সিপিএম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন নিরাপত্তা অধিকর্তা হচ্ছেন জ্ঞানবন্ত সিং