চারতলার কার্নিশে পা ঝুলিয়ে বসে করোনা আক্রান্ত রোগী! সাতসকালে মেডিক্যাল কলেজে আতঙ্ক-হুড়োহুড়ি
বাড়ছে সংক্রমণের হার। বাংলায় দৈণিক সংক্রমণের হার ইতিমধ্যে ২০ হাজার ছুঁইছুঁই! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আতঙ্ক বাড়ছে। আর এই আতঙ্ক থেকে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা। চারতলার কার্নিশ বেয়ে পালানোর চেষ্টা চিকিৎসাধীন এক
বাড়ছে সংক্রমণের হার। বাংলায় দৈণিক সংক্রমণের হার ইতিমধ্যে ২০ হাজার ছুঁইছুঁই! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আতঙ্ক বাড়ছে। আর এই আতঙ্ক থেকে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা।
চারতলার কার্নিশ বেয়ে পালানোর চেষ্টা চিকিৎসাধীন এক করোনা রোগীর।
বিষয়টি সকলের নজরে পড়তেই হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে খবর দেওয়া হয়।
পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার করে ওই রোগীকে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রোগীদের মধ্যে। কিন্তু কীভাবে ওই রোগী সবার নজর এড়িয়ে এভাবে ওই রোগী কার্নিশে পৌঁছলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনকি সরকারি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই ঘটনার পর হাসপাতালে এবং করোনা আক্রান্ত ওয়ার্ডগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
জানা যায়, সকালে হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করতে আসেন প্রথম সাফাই কর্মীরা। তারাই প্রথম দেখতে পান কার্নিশে বসে এক রোগী। প্রত্যক্ষদর্শী এক সাফাইকর্মী জানান, ওই ব্লকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। বিল্ডিং ভরতি করোনা রোগীতেই।
কার্নিশে বসে থাকা ওই লোকটি যে কোভিড আক্রান্ত, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। একাধিকবার ওই হাসপাতালের কর্মীরা ওই বযক্তিকে ফিরে যেতে বলেন।
এমনকি নেমে আসার কথাও বলেন। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন, আসলে কার্নিশ টপকে পালাতে চেয়েছিলেন ওই করোনা রোগী। কিন্তু চারতলার কার্নিশে নেমে টের পান সেখান থেকে লাফ দিলে হাত পা ভেঙে যাবে। এদিকে ওখান থেকে যে ফের ওয়ার্ডে ফিরে যাবেন, সে উপায়ও নেই।
কার্যত বাধ্য হয়েই চুপচাপ বসে পা দোলাচ্ছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা কার্নিশেই ছিলেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে সুপার মানব নন্দী খবর দেন দমকল বিভাগে। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরেও।
সেখান থেকে লোকজন এসে পিপিই কিট পরে, লম্বা মই দিয়ে উদ্ধার করে ওই রোগীকে। সকাল সকাল এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগী এবং আত্মীয়দের মধ্যেও।