তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা বিভ্রাটের জের এবার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে! দলের 'স্বার্থে' ডিভোর্সের নোটিস নেতার
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা বিভ্রাটের জের এবার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে! দলের 'স্বার্থে' ডিভোর্সের নোটিস নেতার
তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রার্থী তালিকা বিভ্রাটে একদিকে যেমন প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে ঠিক তেমনই প্রভাব পড়েছে পারিবারিক সম্পর্কেও। কোচবিহারে একই ওয়ার্ডে লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন মা ও ছেলে। সে খবররে রেশ কাটতে না কাটতেও, এবার সেই বিভ্রাট এবার স্বামী (husband)-স্ত্রীর (wife) সম্পর্কে। যা গড়িয়েছে ডিভোর্সের (Divorce) নোটিস পর্যন্ত।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা
ঘটনাটি দক্ষিণ দমদম পুরসভার ছয়নম্বর ওয়ার্ডের। তৃণমূলের প্রকাশিত প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল রীতা রায়চৌধুরীর। যদিও পরবর্তী সময়ে সংশোধিত তালিকায় তা বাতিল হয়ে যায়। আবার পাশে ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তাঁর স্বামী সুরজিৎ রায় চৌধুরী। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন রীতা রায় চৌধুরী। প্রতীক জোড়া পাতা। এব্যাপারে স্বামী কেন, দলের কোনও নির্দেশ শুনতেই তিনি নারাজ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে দাম্পত্য কলহ।
ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেতা
কলহ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রীতা রায় চৌধুরী স্বামীর বাড়ি ছেড়ে নাগেরবাজারে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুরজিৎ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, দলের স্বার্থেই তিনি স্ত্রীকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন। তবে বারাসত, গারুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে টিকিট পেলেও, তিনি না পাওয়ার পরিবারে প্রভাব পড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
স্ত্রীর নেতৃত্বেই এলাকায় বিধানসভায় লড়াই
সুরজিৎ রায় চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী দক্ষিণ দমদম পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন। এমন কী গত বিধানসভা নির্বাচনে রীতা রায় চৌধুরীর নেতৃত্বেই এলাকায় লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল ১৫০০-র বেশি ভোটে লিড পায়। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রথম তালিকায় নাম থাকলেও, পরে তালিকায় নাম নেই স্ত্রীর। তবে তার জন্য তার কিছুই করার নেই। তবে এব্যাপারে তৃণমূলের সরব হওয়ার বিষয়টিও তিনি মেনে নিতে পারছেন না। বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার তাঁর রয়েছে।
নয় নম্বর ওয়ার্ড কার্যত নির্দল প্রার্থীর দখলে
তৃণমূলের চূড়ান্ত তালিকায় প্রার্থী করা হয়েছে টুম্পা দাসকে। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জোড়া পাতা প্রতীক ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে। সেখানে ম্লান তৃণমূলের প্রচার। রীতা রায় চৌধুরী স্বামীর পাঠানো ডিভোর্সের নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ভোট মিটে যাওয়ার পরেই এব্যাপারে যা বলার বলবেন।
Recommended Video