করোনা আতঙ্কের জের, বন্ধ করে দেওয়া হল শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির খোয়াই-এর হাট
করোনা আতঙ্কের জেরে এবার বন্ধ করে দেওয়া হল শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির খোয়াই এর হাট । বীরভূম জেলা প্রশাসন এই হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনা আতঙ্কের জেরে এবার বন্ধ করে দেওয়া হল শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির খোয়াই এর হাট । বীরভূম জেলা প্রশাসন এই হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোলপুরের বিডিও শেখর সাঁই জানিয়েছেন, এই হাটে এখন অনেক বিদেশীও আসেন। যারা বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকায় ঘুরতে আসেন তারাও প্রায় সকলেই ঘুরে আসেন এই সোনাঝুরি হাটে।
হাটের ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকেই । তাই রবিবার থেকে এই হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । আবার কবে থেকে সেটা শুরু হবে তা পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগে শুধুমাত্র শনিবার সোনাঝুরির হাট বসত। তবে গত কয়েক বছর ধরে শুক্রবার থেকে রবিবার, তিন দিন হাট বসে।
এই হাটে বিক্রি করা হয় নানা হস্তশিল্প সামগ্রী । সঙ্গে থাকে আদিবাসী মহিলাদের নাচ গান । এই ছাড়া উপরি পাওনা এই এলাকায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা । ফলে যারা শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসেন তারাও একবার ঘুরে যান এই হাটে । এখানে আসেন বিদেশিরাও ।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এইবার বন্ধ রাখা হয় বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠান। এই আতঙ্কের জেরে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৩১ মার্চ তারিখ পর্যন্ত সব ক্লাস সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । একই সাথে আবাসিক ছাত্র ছাত্রীদের হোস্টেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণ দেখতে আসেন অনেকেই ।
এই বার সেখানে পর্যটকদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে শান্তিনিকেতন এলেও এখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জিনিস পত্র যেখানে রাখা আছে সেই উত্তরায়ণ এলাকা, কলাভবন, উপাসনা গৃহ কোনও জায়গাতে যেতে পারবেন না শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসা পর্যটকরা। এখন এই পরিস্থিতিতে এখানে পর্যটকরা প্রায় কেউ আসছেন না বললেই চলে। যারা আসছেন তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন আশেপাশের এলাকায় ।