রণক্ষেত্র আরজি কর , দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের
আরজি কর হাসপাতালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের।বসিরহাটের ঘটনায় মৃত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই হাসপাতালে, জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ
আরজি করে ধুন্ধুমার। বিক্ষোভের মুখে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। বিপাকে পড়েন হাসপাতালে যাওয়া রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।
বসিরহাটে গোষ্ঠী সংঘর্ষে দলীয় কর্মীর আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। সংঘর্ষে গুরুতর আাহত ওই কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। মৃত কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার মুখে ওই গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বেশ কিছু বিজেপি সমর্থকও। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। পুলিশের সঙ্গে চলে ধস্তাধস্তে। হাসপাতালে সামনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালেই তাদের দলের কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমূল। তার গাড়িতেও দীর্ঘক্ষণ চড়-চাপাটি মারা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ তার।
বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দাবি, অন্য রোগীদের অসুবিধা হবে। তাই তারা দুই বিজেপি নেতা হাসপাতালে ঢুকতে দেবেন না।গাড়ি মধ্য়েই বসে থাকেন দিলীপ ও কৈলাস। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ফিরে যান। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রিজার্ভ ফোর্সের সঙ্গে যান অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররা।
আরজি কর হাসপাতাল চত্বর রণক্ষেত্র হওয়ার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। বিজেপি কর্মী বসিরহাটে কী করতে গিয়েছিলেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বসিরহাটে ঘটনায় বিজেপি যে জড়িত তার প্রমাণ পাওয়া গেল বলেও দাবি করেছেন তিনি।