তথাগত রায় 'আহাম্মক', পার্টি অফিসকে পানশালা বানিয়ে রাখতেন, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
তথাগত রায় 'আহাম্মক', পার্টি অফিসকে পানশালা বানিয়ে রাখতেন, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
বিরোধিতাটা হওয়ার কথা ছিল বিজেপি বনাম তৃণমূল, কিন্ত শেষ দু'বছরে বঙ্গবিজেপির দুই প্রবীন নেতা তথাগত রায় ও দিলীপ ঘোষ (যারা কিনা এক সময় বঙ্গ-বিজেপির রাজ্য সভাপতিরও দায়িত্ব সামলেছেন) একে অপরকে আক্রমণ করায় যেন শ্রেয় মনে করেছেন৷ এর আগেও বহুবার টিভি চ্যানেলে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বঙ্গ-বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে আক্রমণ করেছেন তারই দলের বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়৷ দিলীপও তা্র পাল্টা দিয়েছেন! এবার আবারও সেইরকম দিলীপ-তথাগত সংঘাতের সাক্ষী থাকছে বঙ্গ-রাজনীতি৷ সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে দিলীপ ঘোষকে ইঙ্গিত করে 'ফিটারমিস্ত্রি' ও 'জালি ডিগ্রি'র বিষয় তুলে বাক্যবান চালিয়ে ছিলেন তথাগত রায়৷ বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ৷ এদিন তিনি তথাগতকে আহাম্মক বলতেও ছাড়েননি!
লোকের হাতে পায়ে ধরে চাকরি পেয়েছেন তথাগত, দাবি দিলীপের!
তথাগত রায়ের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট নিয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ বলেন,'যারা লোকের হাতে পায়ে ধরে চাকরি পেয়েছেন৷ দলের অফিসটা পানসালা বানিয়ে মৌজ মস্তি করতেন৷ যারা তৃণমূল সিপিএমের থেকে সুবিধা নিতেন, আসলে সুপারি নিতেন যাতে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে চার পারসেন্টের উপরে না যায়, সে সব আহাম্মকদের কথা কে শোনে! বয়সের একটা দোষ আছে তো! ৭২ হয়ে গেলে তখন মাথার ঠিক থাকে না!'
দিলীপকে নিয়ে ফেসবুক পোস্টে কী লিখেছিলেন তথাগত?
বুধবারই একটি ফেসবুক পোস্টে তথাগত রায় লিখেছেন, 'আমার এক বন্ধু বলেছেন আমি নাকি ফিটার মিস্ত্রিদের অপমান করেছি। কখনোই না। কিন্তু যদি অজান্তেও করে থাকি তাহলে তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। কিন্তু যে ফিটার মিস্ত্রীটি ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে মিথ্যা এফিডেভিট করে নিজেকে ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকের ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত বলে লিখেছিলেন, এবং যা ওই পলিটেকনিক অস্বীকার করেছে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ মিথ্যা এফিডেভিট করা একটি দণ্ডযোগ্য অপরাধ।'
দিলীপের মন্তব্য নিয়ে কী বললেন তথাগত?
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর ওয়ানইন্ডিয়া বাংলার পক্ষ থেকে তথাগত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দিলীপের আক্রমণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাননি! তবে তাঁর ফেসবুক পোস্টকেই তিনি নিজের প্রত্যুত্তর হিসেবে রেখেছেন।
কর্মীরা কেউ পার্টি ছেড়ে যায়নি, নেতাদের মনোবলের অভাব আছে, বললেন দিলীপ