তৃণমূল-সিপিএম আরও কাছাকাছি! যতই গালাগাল দিন, মত বদলাবেন না তন্ময়
লোকসভা ভোটের পর থেকে নিয়মিত বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলছিল। কিন্তু তারপর তারা উল্টো টার্ন নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে। তা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে চলার ডাক দিয়েছিলেন। তারপর সিপিএম বিধায়কের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলকে। এই অবস্থায় তৃণমূল এবং সিপিএমের পাশাপাশি চলার বার্তা দিয়েছেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। তার জেরেই বিতর্কে মুখে সিদ্ধান্ত বদল হবে না বলে সাফ জানালেন তিনি।
রবিবার তিনি বলেছিলেন, বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল নেতা ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়তেও তাঁর আপত্তি নেই। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তন্ময়বাবু। ফেসবুকে তার পাল্টা সাফাই দিয়েছেন সিপিএম বিধায়ক। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তিনি।
এক ফেসবুক পোস্টে তন্ময়বাবু লেখেন, যারা আমার মুখ থেকে কোনো কথা না শুনে নানান মন্তব্য করে চলেছেন, আমি তাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা অশ্লীল শব্দবাক্য ব্যবহার করেছেন তাদেরকে অবশ্য উপেক্ষাই করছি। এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।
আমি বলেছি, যদি কখনও এমন হয় যে আমি মধ্যমগ্রাম মোড় দিয়ে যেতে গিয়ে দেখলাম, কিছু লোক জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দিতে একজন মানুষকে মারছে, আমি তো তার প্রতিবাদ করব, আক্রান্ত মানুষটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করব। যদি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও সেখানে এসে একই কাজ করেন আমি কি চলে আসব? বা আমাকে দেখলে কি তিনি চলে যাবেন।
তিনি লেখেন- রাজনীতিতে অস্পৃশ্যতা বলে কিছু হয় না। ইস্যু ঠিক করে দেয় কখন কোনটা সঠিক কর্তব্য। একথাও বলেছি যদি আমেরিকার মদতে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে, দেশরক্ষার যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, কেউ কি এটা বলবেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী, তাই এই যুদ্ধের বিরোধিতা করব। সেটাও ভুলই হবে।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, চাইলে আমাকে গালাগাল দিন। মত বদলাবে না। ইস্যুর ভিত্তিতে তৃণমূলের পাশে থাকার কোনো সমস্যা নেই। রাজনীতিতে কেউ অস্পৃশ্য নয়। তবে একজোট হওয়ার জন্য তৃণমূলের সামনে শর্ত থাকবে।