বিধায়ককে বাদ দিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে, টিম পিকে-র কারণেই আরও চওড়া তৃণমূলের ফাটল
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোনও বহিরাগত নয়। দলের প্রার্থী হিসেবে চাই এলাকার মানুষকে। এমনই দাবিতে কয়েকদিন আগে হাওড়ার বালির বিভিন্ন জায়গায় পড়েছিল পোস্টার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে এলাকায়। সেই পোস্টারের নিচে লেখা- বালি তৃণমূল সক্রিয় কর্মীবৃন্দ। যার জেরে মনে করা হয়, এই পোস্টার বৈশালী ডালমিয়াকে নিশিনা করেই লাগানো হয়েছিল।
বালিতে দলীয় অন্তরদ্বন্দ্ব মেটাতে ময়দানে নামে টিম পিকে
সেই ঘটনার পরই বালিতে দলীয় অন্তরদ্বন্দ্ব মেটাতে ময়দানে নামে টিম পিকে। সেই উদ্দেশ্যেই এদিন বালি বিধানসভা এলাকার ১৬ জন প্রাক্তন কাউন্সিলরের সঙ্গে বুধবার বেলুড়ে বৈঠকে বসেন টিম পিকের সদস্যরা। তবে সেই বৈঠকেই আরও প্রবল হয়ে যায় এলাকায় চলতে থাকা দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব।
বঙ্গ জননী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা
জানা যায়, বঙ্গ জননী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতেই এদিন বৈঠক বসেছিল। তবে সেই বৈঠক চলাকালীন সেখানে পৌঁছান বালির প্রাক্তন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি বিজয়লক্ষ্মী রাও। বিজয়লক্ষ্মী সেখানে পৌঁছেই প্রশ্ন তোলেন, বিধায়ককে বাদ দিয়ে কেন বৈঠক বসেছে। এরপরই দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার জন্যে টিম পিকে এবং উপস্থিত কাউন্সিলদের দিকে আঙুল তোলেন তিনি।
টিম পিকের সামনেই বচসা দুই পক্ষের
জানা যায়, এই সময় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। প্রায় হাতাহাতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় টিম পিকের সামনেই। এদিকে প্রাক্তন কাউন্সিলররা বৈশালী ঘনিষ্ঠ বিজয়লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন। এদিকে এই গোটা ঘটনা নিয়ে বৈশালী ডালমিয়ার প্রতিক্রিয়া, তিনি অবাক।
বৈশালীকে 'বহিরাগ' তকমা
এর আগে ১ ডিসেম্বর বালি বিধানসভা এলাকার একাধিক জায়গায় বহিরাগত বিরোধী পোস্টার দেখা গিয়েছিল। এর জেরে রাজনৈতিক মহল মনে করে, নাম না করে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূলের একাংশ। সেদিনের পর আজকের এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।