বিশৃঙ্খলার ছবি স্পষ্ট বিশ্বভারতীতে, জল সংকটের সঙ্গে বজ্র আঁটুনিতে প্রশ্নে মোদীর নিরাপত্তাও
নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতেও চরম বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়ল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে। নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছে যান এক যুবক।
নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতেও চরম বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়ল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে। দু-ঘণ্টা আগেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে হয়েছিল অতিথিদের। কিন্তু অনু্ষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা না থাকায় গরমে হাঁসফাঁস করতে হয় অতিথি-অভ্যাগতদের। তার মধ্যেই নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছে যান এক যুবক।
এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না, তেমনই জেলা প্রশাসনও তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারে না। এদিন সমাবর্তনে যোগ দিতে আসেন বর্তমান পড়ুয়া থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা এবং বিশিষ্ট অতিথিরাও। প্রায় ১০ হাজার অতিথি। অথচ জল মাত্র ছ-হাজার পাউচ। ফলে এই গরমে জল না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তৃষ্ণার্ত হয়ে কাটাতে হয়েছে অতিথিদের।
[আরও পড়ুন:হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন মোদী, আচার্য হিসেবে দায় নিয়ে ক্ষোভ মেটালেন বিশ্বভারতীর]
তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন আম্রকুঞ্জের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তখন আচমকাই এক যুবক প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কীভাবে বাইরের একজন চলে আসতে পারেন? এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ওই যুবককে সঙ্গে সঙ্গে আটক করে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে যাওয়ার সময় আবার তাঁকে ইশারায় পানীয় জলের সংকটের কথা জানান পড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: মোদীর মুখে 'একলা চলা'র বার্তা, গুরুদেবের কর্মভূমিতে ১০০ গ্রাম স্বনির্ভর করার ব্রত ]
এরপর সমাবর্তনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রত্যেকের কাছে। বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী। করতালির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবর্তন ক্ষেত্র। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হয়। কিন্তু ক্ষোভ রয়েই যায় ভিতরে ভিতরে। তার কারণ জল না পেয়ে এই গরমে অনেক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংকটে পড়ে অনেকেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিত। তাঁরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর মিষ্টি কথায় না ভুলে বিশ্বভারতীর অব্যবস্থাকে দায়ী করেন এই বিশৃঙ্খলতার জন্য।