৭ দিন পর জিয়াগঞ্জ খুনের কিনারা! শিক্ষকের গ্রামের বাড়ির কাছ থেকে গ্রেফতার যুবক
মুর্শিদাবাদে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার কিনারা হয়েছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে। সোমবার রাতে শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি সাগরদিঘিক সাহাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে উৎপল বেহেরা নামে এক যুবককে।
মুর্শিদাবাদে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার কিনারা হয়েছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে। সোমবার রাতে শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি সাগরদিঘিক সাহাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে উৎপল বেহেরা নামে এক যুবককে। ওই যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানা গিয়েছে। ওই যুবককে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইবে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে আরও নাম সামনে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে খুন করা হয়েছিল শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল এবং শিশু সন্তানকে। এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল পুলিশ। যার মধ্যে ছিল এই উৎপল বেহেরাও। পুলিশের দাবি উৎসপ স্বীকার করেছে একাই কুপিয়ে খুন করেছে তিনজনকে। পুলিশের অনুমান টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই খুন করা হয়েছে শিক্ষকের পরিবারকে।
এর আগে আটক করা হয়েছিল, ওই শিক্ষকের বাবাকে। একবন্ধুকেও আটক করা হয়েছিল। শিক্ষক যে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তারও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর উৎপল জেরায় দাবি করেছে, বন্ধু প্রকাশ পাল অনেক টাকা নিয়েছিল তাঁর কাছ থেকে। বারবার বলার পরেও ফেরত না দেওয়ার গণ্ডগোলের সূত্রপাত। আর সেই কারণেই খুন।
নবমীর রাতে ছয়বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ঠাকুর দেখেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল এবং তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল। এরপর দশমীর দিন ঘর থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে পুলিশ দুধ বিক্রেতা রাজীব দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাজীব পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুধ দিতে গিয়ে দরজা ঠেলতেই খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুপ্রকাশ পালকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময় চিৎকার করে উঠতেই, কালো গেঞ্জি ও প্যান্ট পরা এক ব্যক্তি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি করেছে রাজীব। পুলিশ সেই দাবিও খতিয়ে দেখছে।