গরমের অজুহাতে দীর্ঘ ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি! হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
বাড়ির বাইরে বের হলেই পুড়ছে শরীর! প্রবল দাবদাহের মধ্যে কেটেছে কয়েকদিন। আর এই পরিস্থিতি দেখে সরকারি স্কুলগুলিতে এগিয়ে আনা হয়েছে গরমের ছুটি। প্রায় ৪৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাব
বাড়ির বাইরে বের হলেই পুড়ছে শরীর! প্রবল দাবদাহের মধ্যে কেটেছে কয়েকদিন। আর এই পরিস্থিতি দেখে সরকারি স্কুলগুলিতে এগিয়ে আনা হয়েছে গরমের ছুটি। প্রায় ৪৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। এবার এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে।
গরমের অজুহাতে দীর্ঘ ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে গরমের ছুটি নিয়েও জনস্বার্থ মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ নবান্নের একাংশ।
তবে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন আনন্দ হাণ্ডা। যিনি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা যাচ্ছে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশনের কাছে মামলাকারীর দাবি, গরমের অজুহাতে দীর্ঘ ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি পড়াশুনোতে ক্ষতি করবে। আর সেই কারণে ছুটি কমানোর দাবি জানানো হয়েছে মামলাকারীর তরফে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়েছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে। তবে মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবপক্ষের। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশের উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।
বিশেষ করে অভিভাবকদের নজরে গোটা আইনি প্রক্রিয়া।
প্রায় গত দুবছর ধরে গোটা দেশেই করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। যার প্রভাব ছিল বাংলাতেও। যে কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল বাংলার সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি। অনলাইনে পড়াশুনা হলেও তা কতটা পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছত তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে শিক্ষাবিদদের একাংশের। এই অবস্থায় বারবার স্কুলগুলিকে খোলার দাবি জানানো হচ্ছিল সর্বস্তরে। আর তা মেনেই গত কয়েকমাস আগেই সরকারি স্কুলগুলি খুলেছে। এবং পড়াশুনাও শুরু হয়েছে।
এই অবস্থায় বঙ্গে গরম পড়তেই গরমের ছুটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পরিস্থিতি বুঝে গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ছুটি ৪৫ দিনের। আর সেখানেই একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সংগঠন মনে করছে লম্বা ছুটির কারণে পড়াশুনা ব্যাহত হবে পড়ুয়াদের। এমনিতেই করোনার কারণে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ফলে এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের হস্তক্ষেপ দাবি করেই মামলা সংগঠনের তরফে।