চিকিৎসা নিয়ে মামলার জালে মদন মিত্র, ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে শুনানির সম্ভাবনা
হাইকোর্টে ফের মামলা মদন মিত্রকে নিয়ে। তবে এবারের মামলা এসএসকেএম-এ থাকা অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা সংক্রাম্ত তথ্য জানতে চেয়ে মামলা দায়ের কথা হয়েছে পিপল ফর বেটার ট্রিটমেন্টের পক্ষ থেকে।
হাইকোর্টে ফের মামলা মদন মিত্রকে নিয়ে। তবে এবারের মামলা এসএসকেএম-এ থাকা অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা সংক্রাম্ত তথ্য জানতে চেয়ে মামলা দায়ের কথা হয়েছে পিপল ফর বেটার ট্রিটমেন্টের পক্ষ থেকে। সোমবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
সারদা কাণ্ডে মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। প্রভাবশালী তত্ত্বে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু সিবিআই-এর অধীনে থাকাকালীন সময়ে মদন মিত্রের বেশিরভাগ সময় কেটেছে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। সরকারি চিকিৎসকরাই মদন মিত্রের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খারাপ রিপোর্ট দেওয়ায় তাঁকে রাখা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালেই। ২০১৫-র মুক্তির আগে পর্যন্ত বেশিরভাগ সময়ই মদন মিত্র কাটিয়েছেন এসএসকেএমের বিশেষ মেডিকেল ইউনিটে।
তথ্য জানার অধিকার আইনে 'পিপলস ফর বেটার ট্রিটমেন্ট' সংস্থা ২০১৫-র ১০ এপ্রিল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে মদন মিত্রের মেডিকেল রিপোর্ট জানতে চায়। হাসপাতালের বাইরের কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে সেই রিপোর্ট পরীক্ষা করা হবে বলেও আবেদনে জানিয়েছিল পিবিট। কেননা, চিকিৎসকদের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মদন মিত্রের মেডিকেল রিপোর্ট বানানোর অভিযোগও উঠেছিল সেই সময়ে। এসএসকেএমের জনসংযোগ আধিকারিক বিষয়টি নিয়ে কোনও উত্তর দেননি।
এরপর পিবিটি তথ্য জানার অধিকার আইনে তাদের দ্বিতীয় আবেদন দাখিল করে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনফরবেশন কমিশনের কাছে। পিবিটির অভিযোগ, দু-বছর পেরিয়ে গেলেও, সেই আবেদনের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
তথ্য জানার অধিকার আইনে দু-দুটি আবেদনে কোনও সাড়া না পেয়ে, এবার কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছে পিবিটি। একইসঙ্গে রাজনৈতিক চাপ এবং সরকারি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজেরও অভিযোগ করা হয়েছে। রিট পিটিশনে এসএসকেএমে মদন মিত্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রকাশের দাবি করা হয়েছে। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা। পিবিটির হয়ে হাইকোট্রে মামলা লড়ছেন আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত।